নীল তিমির আতঙ্ক এ বার ঢাকাতেও

বাবা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাসে প্রথম হওয়া স্বর্ণা বদলে যেতে থাকে ক্লাস এইটে উঠে। ওই বছরেই পড়াশোনার কথা বলে বাবার কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নিয়েছিল ওই কিশোরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে মারণখেলা ব্লু-হোয়েল। এ বার ঢাকাতেও কি হাজির হয়েছে মৃত্যুদূত সেই নীল তিমি?

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের পড়ার ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ মেলে নামী স্কুল হোলিক্রসের ছাত্রী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা (১৩)-র। তার পরে নানা বিষয় খতিয়ে দেখে স্বর্ণার বাবা ঢাকার প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী সুব্রত বর্ধনের আশঙ্কা— ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের শিকার হয়েছে তাঁর কন্যা। স্বর্ণার মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তার পাশে একটি স্মাইলি— গেমটির কিউরেটরের নির্দেশে যা আঁকতে বাধ্য হয় খেলোয়াড়েরা।

বাবা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাসে প্রথম হওয়া স্বর্ণা বদলে যেতে থাকে ক্লাস এইটে উঠে। ওই বছরেই পড়াশোনার কথা বলে বাবার কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নিয়েছিল ওই কিশোরী। বাবা বলেন, ‘‘মেয়ের আচরণ থেকে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল, এমন কোনও কিছুতে সে আসক্ত হয়ে পড়েছিল— যা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছিল না।’’ এর পরে দিন পনেরো আগে বাবা-মা স্বর্ণার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে দেখতে চাইলে সে অভিমানে কান্নাকাটি শুরু করে। তার পরে তার এই অপমৃত্যু। বাবার কথায়, বিভিন্ন সময়ে তাঁরা মেয়ের শরীরে নানা কাটা ছেঁড়ার দাগ দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু তা যে এই মারণ খেলার কারণে হতে পারে, তা কখনওই ভাবতে পারেননি তাঁরা। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ থাকলে তিনি তা করবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন