আলিঙ্গন: শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রবিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
সুষমা স্বরাজ শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বাড়ি ‘ফিরোজা’-য় গেলেন না। বিএনপি নেত্রীই এলেন ঢাকা সফরে আসা ভারতের বিদেশমন্ত্রীর হোটেলে। বাংলাদেশ প্রশাসনের কর্তারা এতে খুশি।
এ দিন স্থানীয় সময় পৌনে দু’টো নাগাদ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকা পৌঁছনোর পরে দু’দিনে ঠাসা কর্মসূচি সুষমার। ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে খবর, এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় বার করা দুঃসাধ্য হচ্ছিল। রবিবার সকালে বিএনপি দফতরে সেই অসুবিধার কথা জানানোও হয়। তার পরেই ঠিক হয় খালেদাই হোটেলে এসে সুষমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষমা: আলোচনায় রোহিঙ্গা, তিস্তা থেকে সন্ত্রাস
তবে বাংলাদেশ প্রশাসনের কর্তারা নিশ্চিত, সব দিক বিবেচনা করেই ভারতের কূটনীতিকরা সফরসূচি থেকে খালেদার বাড়ি গিয়ে সুষমার বৈঠকের কর্মসূচি বাদ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, গত তিন মাস লন্ডনে তাঁর কাজকর্মের বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে তাঁদের ধারণা। ওই কর্তার মতে, খালেদার দল বিএনপি মৌলবাদী জামাতে ইসলামির জোটশরিক। খালেদা বাংলাদেশে যে ভাবে ভারত-বিরোধী জিগিরের রাজনীতি করেন, সে বিষয়েও দিল্লি ওয়াকিবহাল। তাঁর বাড়িতে বা দলের দফতরে গিয়ে সুষমা খালেদার সঙ্গে বৈঠকে বসলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতো। অল্প সময় তাঁর জন্য বরাদ্দ রাখায় এটাও স্পষ্ট হয়েছে, দুই নেত্রীর আলোচনা নেহাতই সৌজন্যের। খালেদার আধ ঘণ্টা পরে, সাড়ে আটটায় সময় দেওয়া হয় সংসদের বিরোধী নেত্রী জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদকে।
এ দিন রাত আটটা বাজার পাঁচ মিনিট আগেই দলের নেতাদের নিয়ে সুষমার হোটেলে পৌঁছে যান বিএনপি নেত্রী। সুষমা খালেদাকে জানান, সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। দুই নেত্রীর আলোচনার সময়ে ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর ও ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও হাজির ছিলেন।