বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতির ইস্তফাই

প্রধান বিচারপতির ইস্তফায় সরকার স্বস্তি পেলেও, বিরোধী বিএনপি অভিযোগ করেছে বলপ্রয়োগ করে, ভয় দেখিয়ে সরকার তাঁকে ইস্তফায় বাধ্য করেছে। প্রধান বিচারপতি পদে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ ছিল বিচারপতি সিন্হার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২৮
Share:

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিন্হা।

প্রবাসে থেকেই রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিন্হা। শনিবার সকালে এই পদত্যাগ পত্র পৌঁছনোর পরে তা গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের প্রেস সচিব। প্রধান বিচারপতির ইস্তফায় সরকার স্বস্তি পেলেও, বিরোধী বিএনপি অভিযোগ করেছে বলপ্রয়োগ করে, ভয় দেখিয়ে সরকার তাঁকে ইস্তফায় বাধ্য করেছে। প্রধান বিচারপতি পদে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ ছিল বিচারপতি সিন্হার।

Advertisement

বিচারপতি নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে এনে শেখ হাসিনা সরকার সংবিধানের যে ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল, প্রধান বিচারপতি সিন্হার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তা খারিজ করে দেয়। তা নিয়েই সরকারের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় প্রধান বিচারপতির। সরকারের অভিযোগ, রায়ে সংসদ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। হুমকি দিয়েছেন— পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের মতো শেখ হাসিনা সরকারকে খারিজ করার ক্ষমতাও তিনি রাখেন।

শুধু রায়ে নয়, তার পরে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও প্রধান বিচারপতি বলেন— প্রয়োজনে পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও তিনি সরকার ফেলে দিতে পারেন। আগ্রাসী হয়ে ওঠে সরকারও। বিচারপতি সিন্হার তৎপরতাকে তারা সরকার ওল্টানোর আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেখতে থাকে। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি অভিযোগ নিয়ে সক্রিয় হয় দুর্নীতি দমন কমিশনও। এই পরিস্থিতিতে ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ছুটি নেন। ১৫ তারিখে অস্ট্রেলিয়া চলে যান। এ দিনও বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ অভিযোগ করেন, সিন্হাকে চাপ দিয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে সরকার।

Advertisement

আইনমন্ত্রীর অবশ্য পাল্টা যুক্তি, ‘‘সরকার নিশ্চয়ই প্রধান বিচারপতিকে ভয় দেখাতে বিদেশে পুলিশ পাঠায়নি!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement