চিনের বাজারে পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ

দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা কমাতে চিনের বাজারে বাংলাদেশের সব ধরনের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সফররত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৪
Share:

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত।

দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা কমাতে চিনের বাজারে বাংলাদেশের সব ধরনের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সফররত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

বৈঠকে রাষ্ট্রপতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘বর্তমান বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে আমরা চিনের বাজারে বাংলাদেশের সব ধরনের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুমতির জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’’ ওই বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে চিন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির বিষয়টি চিন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।’’

আবদুল হামিদ জানান, চিন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনা রাষ্ট্রপতির এই সফরের মধ্য দিয়ে সার্বিক সহযোগিতার অংশীদারিত্বে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘চিনের মতো আমরাও রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ গ্রহণ করেছি। এর লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা। এ ক্ষেত্রে চিনকে আমরা বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। পারস্পরিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব, অনাক্রমণ, একে-অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা, পারস্পরিক কল্যাণে সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শ্রদ্ধার নীতির ভিত্তিতে এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত।’’ এ দেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে চিনের সহযোগিতাকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে তাঁরা একটি মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাণিজ্য ও কৃষি-সহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদেশ সচিব, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং অন্য সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন