ঢালিউডের নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তাঁর বিয়ের সমস্ত বৈধ কাগজপত্র পেশ করলেন শাহরিয়া শাওন। বুধবার আদালতে তা পেশ করেন তিনি।
নায়িকা মাহির প্রথম স্বামী হিসাবে নিজেকে দাবি করায় দু’দিন আগেই শাহরিয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তখন অবশ্য তিনি কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। টানা দু’দিন পুলিশি জেরার পরে শাওনকে আজ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই তিনি মাহির সঙ্গে তাঁর বিয়ের বৈধ কাগজ পেশ করেন। এই কাগজগুলি সত্যটা অবশ্য যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। আজ আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। গোয়েন্দাদের আবেদন অনুযায়ী তাঁকে আরও ৭ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শাওনের পারিবারিক সূত্র জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বাড্ডার কাজি অফিসে বিয়ে করেন শাওন ও মাহি। তাঁদের গুলশানের বাড়ি থেকে শাওনের ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, একটি ট্যাব ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। কম্পিউটার থেকে মাহি ও শাওনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আর জানান, মাহি-শাওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শাওন। তার দাবি, স্ত্রী হিসাবে মাহির অনুমতি নিয়েই এসব ছবি আপলোড করা হয়েছে। মাহি অবশ্য সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তার অনুমতি না নিয়েই ওইসব ছবি ফেসবুকে আপলোড করায় তাঁর সম্মান ভীষণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাহি-শাওন স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকলেও তাদের গোপন ছবি ফেসবুকে আপলোড করা সমাজের জন্যও ক্ষতিকর। তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক আছে কি না তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি আপলোড করার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’