Bangladesh News

চোরাচালান রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও বর্ডার-হাট

বাংলাদেশের রফতানির বড় বাজার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলো বাংলাদেশের পণ্যে নির্ভরশীল। পরিবহণ ব্যয় বেশি বলে ভারতের অন্যত্র থেকে তাদের আমদানিতে অরুচি। তুলনায় কম খরচে বাংলাদেশের পণ্যেই সন্তুষ্ট।

Advertisement

অমিত বসু

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ১৩:২৫
Share:

বাংলাদেশের রফতানির বড় বাজার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলো বাংলাদেশের পণ্যে নির্ভরশীল। পরিবহণ ব্যয় বেশি বলে ভারতের অন্যত্র থেকে তাদের আমদানিতে অরুচি। তুলনায় কম খরচে বাংলাদেশের পণ্যেই সন্তুষ্ট। দামও সস্তা। এবার ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রফতানির প্রসার চাইছে বাংলাদেশ। যাতে রফতানি বাণিজ্যের ঘাটতি কমে আসে। শুল্ক লোপ না হলে সেটা হবে না। থাকলেও যেন থাকে নামমাত্র। বাংলাদেশের ঢাকাই জামদানি, মসলিন আটকে আছে শুল্কের বেড়ায়। ভারতে বিশাল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও শুল্কের চাপে দাম নাগালের বাইরে।

Advertisement

ভারতের ক্রেতারা নিজস্ব ব্র্যান্ডে বেশি আগ্রহী। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ভারতের ব্র্যান্ডে রফতানি করতে অসুবিধে নেই। তাতে রফতানি আয় বাড়ান সম্ভব। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পণ্য আমদানি-রফতানি সহজ হবে। বাণিজ্য বাড়বে। আরও স্থলবন্দর খোলা দরকার। যাতে বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে পণ্য ভারতে ঢুকতে পারে। সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে পায় না। সীমান্তে মাত্র চারটে হাট রয়েছে। তাতে হচ্ছে না। আরও ছ’টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত। মৌলভী বাজারের জুড়ি উপজেলার পশ্চিম বটুলী, ওই জেলারই কমলগঞ্জ উপজেলার কুমারঘাট, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে ইস্ট খাসি হিলস, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জের নালিকাটা, ধোবাউড়া-ময়মনসিংহের সাউথ গারো হিলস, দোয়ারা বাজার-সুনামগঞ্জের রিংকু সীমান্তে বর্ডার-হাট বসছে। এতে সুবিধে তিনটি। বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে, চোরাচালান বন্ধ হবে, প্রান্তিক মানুষ হাতের কাছে পণ্য পাবে। বর্ডার-হাট যতটা সম্ভব বড় করার চেষ্টা হচ্ছে। মেয়াদ দু'বছর বাড়িয়ে তিন থেকে পাঁচ। কেনাবেচা ১০০ ডলার থেকে ২০০ ডলার। ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা মানুষ হাটে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন। বাংলাদেশ-ভারত দু'দেশের ৫০ জন করে বিক্রেতা অংশ নেবেন। কেনাবেচায় দু'দেশের মুদ্রাই চলবে।

আরও পড়ুন: জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘আইটি প্রধান’কে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশ

Advertisement

ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের অ্যান্টি ডাম্পিং তুলে নেওয়ার কথা হচ্ছে। বিশেষ করে পাটজাত পণ্যের ওপর এর প্রভাব রফতানিতে ক্ষতি করছে। সেটা যাতে না হয় তার চেষ্টা। ভারতের স্টেট ট্রেডিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের টিসিবি'র সংযোগ বাড়ছে। দুই সংস্থার মধ্যে পণ্য বিনিময়, প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণার আদান প্রদান হবে। অনেক স্থল বন্দরের পরিকাঠামো খুবই দুর্বল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পক্ষে যথেষ্ট নয়। সেগুলো দ্রুত বিশ্বমানে টেনে তোলার চেষ্টা হবে। অভিবাসন আর কাস্টমসের ফাঁসে পণ্য আদান-প্রদান যাতে বিলম্বিত না হয়।

রফতানি উন্নয়নে বাংলাদেশের সব প্রস্তাবই মঞ্জুর করেছে ভারত। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সব ক্ষোভ দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা। সেই সঙ্গে ভারত জানিয়েছে, ব্যবসার সব কাঁটা উপড়ে সাবলীল হবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকেও নজর থাকবে ভারতের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন