বিয়ে করার পর থেকেই নানা ঝক্কিঝামেলা সামাল দিচ্ছেন ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহি। ঘটা করে নতুন বিয়ের খবর জানানোর পরেই শাওন নামের এক যুবক মাহিকে তার স্ত্রী দাবি করায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তার স্বপ্নের কেরিয়ার। টালমাতাল হয়ে উঠে নতুন সংসারের স্বপ্ন যাত্রাও। গুঞ্জন ছড়ায়, স্বামী অপুর সঙ্গে মাহির ভুল বুঝাবুঝির।
যদিও মাহি জানাচ্ছেন, তাঁর মনোবলে এ সব ঝক্কিঝামেলার সামান্যই আঁচ পড়েছে। মাহির কথায়- ‘‘আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। অনেক নেতিবাচক খবর নিজে পড়েছি। আসলে এ সব খবরই মিথ্যা। আমি এখন ঢাকায় নিজের বাড়িতে আছি। অপুও ভাল আছে। আমাদের দারুণ সময় কাটছে’’।
প্রথম স্বামীর দাবিদার শাওনকে ইঙ্গিত করে মাহি বলেন, ‘‘ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর দ্বারা আমার কোনও ক্ষতি হবে এটা আশা করা যায় না। এটা হয়তো তৃতীয় পক্ষের ষড়যন্ত্র। তাই মামলাটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
ভিতরের খবর হল, মাহি ও তাঁর কথিত স্বামী (প্রথম) শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটা বোঝাপড়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন শাওনের কাকা আবুল হাশেম। হাশেমের কথায়, ‘‘আমাদের ও মাহির পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। শাওনের বিরুদ্ধে মামলাটি মাহি শিগগিরই প্রত্যাহার করে নিবেন। আগামী ১৬ জুন শাওনের জেল থেকে বের হওয়ার কথা রয়েছে। সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী শাওন জেল থেকে বেরিয়ে মাহির ক্ষতি হয় এমন কিছুই আর করবে না। আর আমিও এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না। আমি দুঃখিত।’’
গত ২৫ মে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিয়ে হয় ঢালিউড চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির। গণমাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন মাহি। কিন্তু বিয়ের এক দিন পরই মাহির সঙ্গে তাঁর বন্ধু শাওনের কিছু ছবি ফেসবুক ও কিছু অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে মাহি রাজধানীর উত্তরা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে শাওনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শাওনকে গ্রেফতার করে পুলিশ দু’দিনের হেফাজতে নেয়। গত ৩১ মে শাওনকে ফের আদালত আনা হয়। শাওন তার বিয়ের স্বপক্ষে কাগজ-পত্র জমা দেন আদালতে। শাওনের আইনজীবী বেলাল হোসেন বলেছিলেন, ‘‘গত বছরে শাওন ও মাহির বিয়ে হয়েছিল। আদালতে বিয়ের কাবিননামা সহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে’’।
জানা যাচ্ছে, নতুন স্বামী অপু চাইছিলেন না তার স্ত্রী মাহি মামলা মোকদ্দামায় জড়িয়ে যান। তার পরেই দুই পরিবারে সমঝোতা হয়।
আরও খবর
মাহির বিরুদ্ধে পারিবারিক আইনে মামলার প্রস্তুতি শাওনের