Bnagladesh News

বাবার সম্মাননা ট্রুডোর কাছে হস্তান্তর হাসিনার

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ স্মারক হস্তান্তর করলেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪০
Share:

জাস্টিন ট্রুডোর কাছে স্মারক হস্তান্তর করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ স্মারক হস্তান্তর করলেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের দুঃসময়ে দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডো। বাংলাদেশের নিরাপরাধ মানুষগুলোর প্রতি মানবিক হতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও বিশেষ অবদান রাখায় কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়ের এলিয়ট ট্রুডোকে ২০১২ সালে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ভূষিত করা হয়।

আর তারও চার বছর পর শুক্রবার কানাডার মন্ট্রিয়লে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডোর কাছে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ স্মারক হস্তান্তর করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

সময়ের পথ পরিক্রমা করে পিয়ের এলিয়ট ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো এখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। পিয়ের এলিয়ট ট্রুডো আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এই সম্মাননা জাস্টিন ট্রুডোর হাতে তুলে দিয়ে সম্পর্কটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা।

মন্ট্রিয়লে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে জাস্টিন ট্রুডোর কাছে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ স্মারক হস্তান্তরের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, সম্মাননা প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যে কয়েক জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ছিলেন পিয়ের ট্রুডো তার মধ্যে অন্যতম।

আরও পড়ুন: এ বার দুর্গা মা নতুন রূপে আনন্দ উৎসবে

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফিরিয়ে দেবে কানাডা

শহিদুল হক বলেন, “স্বাধীন হওয়ার পর যে কয়েকটি দেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়ের ট্রুডো আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের পক্ষে দৃঢ়ভাবে কথা বলেছেন। কমনওয়েলথ ও তৎকালীন জাতিসংঘে বা রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় তিনি তা স্পষ্ট ভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন।” পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্মারক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, “আমরা উভয়ই সেকেন্ড জেনারেশন। আপনার পিতা ও আমার পিতা উভয়েই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারা একে অপরের ভাল বন্ধুও ছিলেন।”

সম্মাননা প্রদানকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর পিতার বন্ধুত্বের সম্পর্ককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং বন্ধু রাষ্ট্র কানাডার উন্নয়ন, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।” উভয় দেশের এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন