ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার পুজো।—নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা-সহ সারা দেশে ২৯ হাজার ৭০০টি পুজো মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশন-বনানীর পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদ বলেছেন, সারা দেশে র্যাবের ১৪টি ব্যাটেলিয়ন ও ৫৪টি ক্যাম্প রয়েছে। প্রতিটি পুজো মণ্ডপে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড,টহল টিম ইউনিট, সিসি টিভি ক্যামেরা, স্টাইকিং ফোর্স ও হেলিকপ্টারে সর্ব ক্ষণ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
র্যাব-এর ডিজি জানিয়েছেন, গত বছর বাংলাদেশে পুজো মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার। এ বছর আরও ৭ হাজার পুজো মণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বারের দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা-সহ সারা দেশে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলিট ফোর্স র্যাব সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন ও সড়ক ও মহাসড়কে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।
এ ছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন গভীর রাতে প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে সন্ধ্যার পর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক। এ দিকে শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরিদর্শন শেষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। যারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী, তারাই সংখ্যালঘু।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, নির্মল আনন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই যাতে পূজা উদ্যাপন করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনো ধরনের শঙ্কার কারণ নেই।