Passive Investing

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে ভয়? ঝক্কি এড়াতে বেছে নিন সেনসেক্সের ‘প্যাসিভ রুট’

হাজার হাজার তালিকাভুক্ত কোম্পানি, দামের ওঠানামা আর সারাদিনের খবরের ভিড়ে ঠিক কোথায় টাকা রাখা উচিত, তা ভেবেই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কূলকিনারা পান না। কিন্তু ভারতের শেয়ার বাজারে পা রাখার একটা খুব সহজ আর স্মার্ট রাস্তা আছে, তা হল সেনসেক্সে ‘প্যাসিভ’ বিনিয়োগ।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪১
Share:

সেনসেক্সে ‘প্যাসিভ’ বিনিয়োগ

অনেকের কাছেই ভারতের শেয়ার বাজার মানে এক জটিল গোলকধাঁধা। হাজার হাজার তালিকাভুক্ত কোম্পানি, দামের ওঠানামা আর সারাদিনের খবরের ভিড়ে ঠিক কোথায় টাকা রাখা উচিত, তা ভেবেই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কূলকিনারা পান না। কিন্তু ভারতের শেয়ার বাজারে পা রাখার একটা খুব সহজ আর স্মার্ট রাস্তা আছে, তা হল সেনসেক্সে ‘প্যাসিভ’ বিনিয়োগ।

সেনসেক্স ঠিক কী আর এর গুরুত্ব কোথায়?

সেনসেক্স হল ভারতের সবথেকে পুরনো এবং জনপ্রিয় স্টক মার্কেট সূচক বা ইনডেক্স। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সেরা ৩০টি ব্লু-চিপ কোম্পানিকে নিয়ে এই সূচক তৈরি হয়। ব্যাঙ্কিং, আইটি, এনার্জি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য— দেশের অর্থনীতির সব বড় স্তম্ভই এই তালিকার অংশ। সহজ কথায়, সেনসেক্স হল ভারতের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের একটি আয়না।

সেনসেক্সে টাকা রাখা মানে আপনি একবারে ভারতের সেরা ৩০টি কোম্পানির অংশীদার হচ্ছেন। এতে আপনার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়, কারণ আপনার টাকা কোনও একটি স্টকে না থেকে বিভিন্ন নামী কোম্পানির মধ্যে ছড়িয়ে থাকছে।

‘প্যাসিভ ইনভেস্টিং’ আসলে কী?

এখানে আপনাকে নিজে খাটাখাটনি করে শেয়ার বাছতে হয় না। বাজারকে হারানোর চেষ্টা না করে বরং বাজারের সঙ্গেই এগিয়ে চলাই এর উদ্দেশ্য। ইনডেক্স ফান্ড বা ইটিএফ-এর মাধ্যমে সরাসরি সেনসেক্সকে অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ, সেনসেক্সের সূচক যে হারে বাড়বে বা কমবে, আপনার বিনিয়োগের মানও ঠিক সেইভাবেই ওঠানামা করবে।

কেন ‘প্যাসিভ ইনভেস্টিং’ সহজ ও লাভজনক?

  • সহজ বিনিয়োগ

প্যাসিভ ইনভেস্টিংয়ের ফলে সারাক্ষণ নজরদারি চালানোর ঝক্কি থাকে না। আপনাকে আলাদা করে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ করতে হয় না। কিংবা নিয়মিত ফলাফলের দিকে নজর রাখতে হয় না। এমনকি বাজার কখন বাড়বে বা পড়বে সেই ভবিষ্যদ্বাণী জানারও প্রয়োজন নেই। সেনসেক্স-ভিত্তিক ইনডেক্স ফান্ড বা ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করলে আপনি এক সঙ্গেই ভারতের সেরা কোম্পানিগুলোতে টাকা রাখার সুযোগ পান।

  • খরচ কম

অ্যাক্টিভ ফান্ডের ক্ষেত্রে শেয়ার বাছার জন্য দক্ষ ফান্ড ম্যানেজার এবং অ্যানালিস্টদের রাখা হয়, তাই সেখানে টাকার বোঝা বেশি থাকে। উল্টো দিকে, প্যাসিভ ফান্ড যেহেতু সরাসরি ইনডেক্স বা সূচককে অনুসরণ করে, তাই এর ‘এক্সপেন্স রেশিও’ অনেক কম হয়— সাধারণত ০.৫ শতাংশের নিচে। দীর্ঘ সময়ে এই সামান্য খরচ বাঁচলে তা আপনার মুনাফাকে এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।

  • ধারাবাহিক পারফরম্যান্স

প্যাসিভ ফান্ডগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তা ইনডেক্সের পারফরম্যান্সের সঙ্গে সমানতালে চলতে পারে। এর ফলে বাজারের দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির যাত্রাপথের সঙ্গে আপনি সবসময় যুক্ত থাকতে পারেন।

  • বৈচিত্র্য এবং স্থায়িত্ব

সেনসেক্সের তালিকায় বিভিন্ন খাতের কোম্পানি থাকে। যার ফলে নির্দিষ্ট সেক্টরের ঝুঁকি কমে যায়। এই প্রতিটি সংস্থাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বাজারের সেরা। ফলে বাজারের টালমাটাল অবস্থায় আপনার বিনিয়োগে বাড়তি স্থায়িত্ব বজায় থাকে।

বিনিয়োগ করার পদ্ধতি

সেনসেক্সে প্যাসিভ উপায়ে বিনিয়োগ করার দু’টি সহজ রাস্তা আছে:

  • ইনডেক্স ফান্ড: এটি সাধারণ মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই। আপনি এসআইপি বা এককালীন টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই।
  • ইটিএফ: এটি শেয়ারের মতো সরাসরি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে কেনাবেচা করা যায়। এর জন্য একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি।

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য

ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই উন্নতির সুফল ঘরে তোলার সেরা উপায় হল শেয়ার বাজার। প্যাসিভ রুটে সেনসেক্সে বিনিয়োগ করে আপনি নিশ্চিন্তে লম্বা সময়ের জন্য সম্পদ তৈরি করতে পারেন।

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন এবং ‘বিএসই’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন