বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে অধ্যাপক আর. পি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর করা ‘সং অফ এশিয়া’-এর একটি মর্মস্পর্শী পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়
বাংলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম ‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’। সীমান্ত পারের সহযোগিতা এবং তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন কতটা তা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ‘এশিয়ান ইন্টিগ্রেশন ইনিশিয়েটিভ সিরিজ় অফ বর্ডারলেস এশিয়া’-র ষষ্ঠ অধ্যায় আয়োজন করেছিল। যা শিক্ষার্থীদের জন্য এক নজির সৃষ্টি করল। ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে ৩০ অক্টোবর আয়োজিত হওয়া এই সম্মেলনটির মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার ডট কম এবং দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির মূল ভাবনা ছিল ‘এনভায়রনমেন্ট, টেকনোলজি, ওয়ার্ক, লাইফ অ্যান্ড ট্রানজাকশনস: এশিয়ান ফোকাস ফর গ্লোবাল এমার্জেন্স’। এশিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা, শিল্পক্ষেত্র, সরকারি সংস্থা এবং সিভিল সোস্যাইটির বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের একই মঞ্চে নিয়ে এসেছিল এই অধিবেশন।
‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’-র চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর অধ্যাপক আর.পি. বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্য রাখেন
ভিয়েতনামের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্স’, মালয়েশিয়ার ‘এসইজিআই ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজেস’ এবং ইন্দোনেশিয়ার ‘ইউনিভার্সিটাস পানকাসক্তি তেগাল’-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনটি ‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’-র চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর অধ্যাপক আর.পি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা ‘সীমান্তহীন এশিয়া উদ্যোগ’-এর একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ হিসেবে চিহ্নিত।
কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের মূল্যবান মতামত দিয়ে এই আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছিলেন।
হো চি মিন সিটিতে, ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের দ্যূত মহেশ চাঁদ গিরির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ভিয়েতনামের ‘ইউইএফ’-এর উপরাষ্ট্রপতি ডো হু নুগেন লোক, ‘সাদার্ন সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট’-এর উপ-নির্দেশক হো নু ডুয়েন এবং ‘ভারত চেম্বার অফ কমার্স’-এর সভাপতি নরেশ পাচিসিয়া।
ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের দ্যূত মহেশ চাঁদ গিরির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়
আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত রাখেন মালয়েশিয়ার ‘এসইজিআই ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজেস’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্টেলা লাউ কাহ ওয়াই, ‘এসইজিআই ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজেস’-এর উপাচার্য অধ্যাপক শ্রীকুমার চক্রবর্তী, সিঙ্গাপুরের ‘মার্বেল রকস ভিসিসি ফান্ড’-এর ডিরেক্টর এবং সিইও মনীশ ত্রিপাঠী এবং মালয়েশিয়ার ‘টুইনটেক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ টেকনোলজি’-র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সেলভরাজ ওয়ান পিল্লাই। ‘এডিআরআই সেন্ট্রাল জাভা’-র প্রধান এবং ইন্দোনেশিয়ার ‘ইউপিএস’-এর রেক্টর, তৌফিকুল্লোহ, এম. হুম, ডিজিটাল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন।
এই সম্মেলনটির গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ ছিল রাউটলেজ (যুক্তরাজ্য) দ্বারা প্রকাশিত অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘গীতা ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড লাইফ’ বইটির বিশ্বব্যাপী প্রকাশনা। বইটি তার সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
‘ইউইএফ’ ভিয়েতনাম এবং ‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’-র মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
এই অনুষ্ঠানে ‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’-র সঙ্গে ‘ইউইএফ’ ভিয়েতনাম এবং ‘টুইনটেক’ মালয়েশিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা গবেষণা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করে।
তবে এই সম্মেলনটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল ‘রমাপ্রসাদ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’-র লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে, যা উৎকর্ষতা, ঐক্য এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। এর পরে আর.পি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর করা ‘সং অফ এশিয়া’ উপস্থাপনা করা হয়, যা সম্মেলনের ঐক্যের বার্তাকে আরও জোরদার করেছে।
অধ্যাপক আর. পি. বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এশিয়ান ইন্টিগ্রেশন ইনিশিয়েটিভ কেবল একটি সম্মেলন সিরিজ় নয়; বরং এটি একীভূত এশিয়ার জন্য এক আন্দোলন, যা সহযোগিতা, অন্তর্ভুক্তি ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। ‘ইআইআইএলএম-কলকাতা’ সংস্কৃতির সেতুবন্ধন গড়ে তোলায় এবং সম্মিলিত বৈশ্বিক নেতৃত্বের একটি কাঠামো নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই সম্মেলনের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার ডট কম।