‘এসএনইউ’-এর চতুর্থ জাতীয় মিডিয়া সম্মেলন
‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-এর সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ আয়োজন করল চতুর্থ জাতীয় মিডিয়া সম্মেলন। তিন দিন ধরে ১০০-এর বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্মেলন পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় মিডিয়া-ভিত্তিক একাডেমিক মঞ্চ হিসেবে পরিচিত।
এ বছরের মূল বিষয় ছিল ‘রিপ্রেজ়েন্টিং দ্য আনসীন: ইন্ডিয়া এট দ্য মার্জিনস অ্যান্ড মিডিয়া’, যা আজকের সমাজে যে নীরবতা ও উপেক্ষা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সমাজের প্রান্তিক মানুষ ও সম্প্রদায়, উপেক্ষিত সংস্কৃতি, সাহিত্য ও শিল্পে দমিয়ে রাখার গল্প অথবা নীরব হয়ে যাওয়া সামাজিক মূল্যবোধ, এই সবকিছুকে এই সম্মেলনের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু করা হয়েছে।
এই বছরের সম্মেলনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিসার্চ জেন্ডার অ্যান্ড কমিউনিকেশন উইং’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েশন’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ও অধ্যাপক শঙ্কু বসু, প্রো-চ্যান্সেলর ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, যার মধ্যে ছিলেন ‘এআইইউ’-এর অতিরিক্ত সচিব মমতা রানি আগরওয়াল, ‘এনডিটিভি’-র কনসাল্টিং এডিটর জয়ন্ত ঘোষাল, ‘ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টার’-এর ডিরেক্টর কে. জি. সুরেশ, প্রাক্তন আইপিএস ঋষিরাজ সিংহ, প্রেস ক্লাব-এর সভাপতি স্নেহাশীষ সুর এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
‘এসএনইউ’-এর ‘স্কুল অফ মিডিয়া কমিউনিকেশন’, ফাইন আর্টস, ডিজ়াইন এবং ড্রামা-র ডিন এবং এই সম্মেলনের সভাপতি মিনাল পারিক বলেন, “এই সম্মেলনটি শুধুমাত্র গবেষণাপত্র উপস্থাপনার জন্য একটি মঞ্চ নয়। এটি এমন একটি স্থান যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেরা একাডেমিক জ্ঞান ও সমালোচনামূলক চিন্তার সাক্ষী হয়ে থাকেন এবং মিডিয়া ও একাডেমিয়ার প্রধান ব্যক্তিদের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন।”
সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক অরিন্দম বসু বলেন, “চার বছর আগে মাত্র ৪০টি গবেষণাপত্র দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, আজ তা ভারতের মিডিয়া স্টাডিজ়ের অন্যতম সন্মানিত প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।”
প্রথম দিন শুরু হয় ‘আনরিপ্রেসেন্টেড ইন্ডিয়া: লাইভস অন দ্য মার্জিনস থ্রু ভেরিয়াস মাস মিডিয়া’ শীর্ষক একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মাধ্যমে। প্রধান বক্তারা এখানে আলোচনা করেন স্টেরিওটাইপিং, পোস্ট-প্রোডাকশন সৌন্দৰ্য্যবোধ, এআই যুগে মিডিয়ার প্রভাব এবং টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপনে লিঙ্গ উপস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
দ্বিতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল ‘কী ভাবে যোগাযোগ প্রকৃতপক্ষে প্রান্তিকদের মূলধারার আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করে?’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে অসমতা, ডিজিটাল বর্ণনার মাধ্যমে অক্ষমতা ও ক্ষমতায়নের চিত্রায়ন এবং মিডিয়ায় দলিত নারীদের প্রান্তিকীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্তিম দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রান্তিক হওয়ার বাস্তবতা’ শীর্ষক অধিবেশন, যেখানে বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপিত করা হয়েছে।
সম্মেলনটি ২০ সেপ্টেম্বর সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এতে মূল বক্তব্য রাখেন দূরদর্শনের সম্পাদক ও সঞ্চালক অশোক শ্রীবাস্তব এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজের জেএমসি-এর প্রধান উমা শংকর পাণ্ডে।
প্রান্তিকীকরণকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে এবং শিক্ষার পদ্ধতিকে বৈশ্বিক কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করে, ‘এসএনইউ’-এর চতুর্থ জাতীয় মিডিয়া সম্মেলন ভারতীয় মিডিয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, নৈতিক ও ভবিষ্যৎমুখী কর্মপদ্ধতির একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘এসএনইউ’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।