রাজস্ব ভাগের পথ দেখাবে নয়া অর্থ কমিশন

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির আর্থিক অবস্থা, রাজকোষ ঘাটতি, ধারের বহর, হাতে থাকা নগদ ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে কমিশন। আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল করার পথনির্দেশও দেবে তারা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গড়তে গত সপ্তাহেই সায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জিএসটি চালু হওয়ার পরে নতুন পরোক্ষ কর জমানায় কেন্দ্র-রাজ্য রাজস্ব ভাগাভাগির নতুন পথ বাতলাতে সোমবারই ওই কমিশন গড়ার কাজ সেরে ফেলল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

অর্থ কমিশনের মাথায় চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয়েছে পূর্বতন যোজনা কমিশনের সদস্য এন কে সিংহকে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি, বাকি সদস্যরা হলেন: প্রাক্তন আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস, প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ি, নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ সিংহ।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির আর্থিক অবস্থা, রাজকোষ ঘাটতি, ধারের বহর, হাতে থাকা নগদ ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে কমিশন। আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল করার পথনির্দেশও দেবে তারা। কেন্দ্র-রাজ্যে জিএসটি-র প্রভাব দেখার ক্ষেত্রে অর্থ কমিশনের অন্যতম কাজ হবে নতুন কর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে রাজস্ব খাতে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঠিক করা। আগামী ৫ বছর ধরে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সেস বাতিলের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবেন সদস্যরা। সহজে ব্যবসা করার শর্ত কতটা মেনে চলা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও নজর রাখবেন তাঁরা। দায়িত্ব পাওয়ার পরে সিংহ বলেন, ‘‘মূলত কমিশনের নজরে থাকবে জিএসটি। কারণ কেন্দ্র -রাজ্য সকলের ভাঁড়ারের প্রশ্ন এর সঙ্গে জড়িত।’’

Advertisement

কমিশনের পাঁচ বছরের কাজের মেয়াদ শুরু হবে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সাধারণত সুপারিশ কার্যকর করার দু’বছর আগেই অর্থ কমিশন তৈরি হয়। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ চালু হয়েছে ২০১৫ থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন