আট বছর পরে ফিতে খুলেছে প্রকল্পের ফাইলের। শুরু হয়েছে রাজ্যে জুতো পার্ক তৈরির প্রাথমিক কাজ। হালে তা গড়তে মিলেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রতিশ্রুতি। আর এই সব কিছুর পরে এ বার ৪৫০ কোটি টাকার লগ্নিও নিশ্চিত হতে চলেছে সেখানে। যার মধ্যে ২৫০ কোটি দেশি সংস্থাগুলির। আর বাকি ২০০ কোটি টাকা (১ ডলার ৬৭ টাকা ধরে ৩ কোটি ডলার) আসার কথা বিদেশি বিনিয়োগের হাত ধরে। এখানে ইতালি, জার্মানি, তাইওয়ান ও চিনের বেশ কয়েকটি সংস্থার টাকা ঢালা এখনই প্রায় নিশ্চিত বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা জোগানোর প্রতিশ্রুতি বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন শিল্পনীতি ও উন্নয়ন দফতর (ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন) দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাবিত প্রকল্পের রূপরেখা (কনসেপ্ট নোট) চেয়েছে তারা। এই কারণেই সম্প্রতি কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজাকে চিঠি দিয়েছিল ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর। ইতিমধ্যেই সেই রূপরেখা তৈরি করেছে ব্যবসা চাঙ্গা করতে মরিয়া এ রাজ্যের চর্মশিল্প।
ওই কাঠামো অনুযায়ী, প্রথম দফায় ১১০ একরে যে-জুতো পার্ক তৈরি হবে, সেখানে এই লগ্নি শেষমেশ হলে, কাজের সুযোগ পাবেন ৫ হাজার জন। ৪,০০০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে দেশে ব্যবসার অঙ্ক। রফতানি পৌঁছবে প্রায় হাজার কোটি টাকায়। জুনেজার দাবি, এ রাজ্য থেকে চামড়ার জিনিসের রফতানি এক লাফে অনেকখানি বেড়ে যাবে জুতো পার্কের দৌলতে। এর পর দ্বিতীয় দফায় ১৩০ একরে জুতোর পাশাপাশি অন্যান্য চর্মপণ্যেরও পার্ক গড়া হলে, এই সমস্ত সংখ্যা আরও অনেকটা বাড়ার কথা। সব মিলিয়ে সম্ভাব্য লগ্নি হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে এই জুতো পার্ক তৈরির পরিকল্পনা অনেক দিনের। ২০০৭ সালে পার্ক তৈরির ভাবনা-চিন্তা শুরু। ২০০৮ সালে দানা বাঁধে পরিকল্পনা। ২৭ লক্ষ টাকা ‘কশন মানি’ জমা দেয় ৩৪টি সংস্থা। তা