হলদিয়ার অয়েল জেটিতে প্রথম জাহাজ নোঙর করে ১৯৬৮ সালের ১৩ অগস্ট। এমটি অ্যামপুরিয়া। সোমবার হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে তাই সেই জেটিতেই আনা হল ভিয়েতনামের জাহাজ এমটি লেডি ক্যাথলিন। বয়ে আনল হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের জন্য পেট্রোপণ্য।
বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমারের দাবি, ‘‘আমদানি বাড়ছে এলপিজি, এলএনজি, মেটকোকের। তাই বন্দরের বাইরে হলদি নদীতে দু’টি টার্মিনাল জেটি হবে। শালুকখালিতে একটি।’’
নাব্যতার সমস্যায় হলদিয়ায় বড় জাহাজ ঢোকে না। তাই এখন হলদিয়া শোধনাগারে অশোধিত তেল আসে পারাদ্বীপ থেকে পাইপলাইনে। ফলে বন্দরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। শোধনাগারের এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর সি কে তেওয়ারি বলেন, ‘‘প্রশ্নই নেই। বিএস-৪ থেকে বিএস-৬ স্তরের তেল উৎপাদনে হলদিয়ায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হবে। সে জন্য কাঁচামাল বন্দর দিয়েই আসবে। পেট্রল-ডিজেলও যাবে এখান থেকে।’’
প্রথম অয়েল জেটিটি স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা সাংসদ সতীশচন্দ্র সামন্তের নামে করা হয়েছে। এ দিন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক পুরো বন্দরই তাঁর নামে করার দাবি জানান। তা সমর্থন করেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।