এয়ারটেলে স্থগিত আধার যাচাই

অনেক এয়ারটেল গ্রাহকের আধার-তথ্য যাচাইয়ের ফাঁকে সেই তথ্য দিয়ে তাঁদের অজান্তেই এয়ারটেলের পেমেন্টস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন আধার কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

এয়ারটেল এবং এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-কে ‘ই-কেওয়াইসি’ পদ্ধতিতে গ্রাহকদের আধার-তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই)।

Advertisement

অনেক এয়ারটেল গ্রাহকের আধার-তথ্য যাচাইয়ের ফাঁকে সেই তথ্য দিয়ে তাঁদের অজান্তেই এয়ারটেলের পেমেন্টস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন আধার কর্তৃপক্ষ।

ওই অন্তর্বর্তী নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এয়ারটেলের এক মুখপাত্র। এ জন্য গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এয়ারটেলে পেমেন্টস ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের নথিভুক্তির কিছু পদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট না-হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউআইডিএআই। আমরা ওঁদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি, দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে। পাশাপাশি, আমাদের পদ্ধতিগুলিও পরীক্ষা করে দেখছি। সব নির্দেশ মেনে চলাই আমাদের লক্ষ্য।’’

Advertisement

টেলিকম দফতরের নির্দেশ মেনে সব সংস্থায় গ্রাহকের মোবাইল সিমের সঙ্গে তাঁদের আধার-তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এয়ারটেলেও সেই প্রক্রিয়া চলার সময়ে সংস্থাটির কিছু আউটলেট গ্রাহকদের অজান্তে ও সম্মতি ছাড়াই এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। এর জেরে সেখানে তাঁদের রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকাও জমা পড়েছে। প্রায় ২৩ লক্ষ এমন এয়ারটেল গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৪৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, সব শেষে যে-ব্যাঙ্কে গ্রাহক আধার নম্বর দাখিল করবেন, নিয়ম অনুযায়ী সেখানেই ওই ভর্তুকি জমা পড়ে। এয়ারটেলের মোবাইল অ্যাপ খুললে দেখা গিয়েছে, গ্রাহক মোবাইলের কেওয়াইসি-র ভিত্তিতে ওই অ্যাকাউন্ট খুলতে বলছেন বলে অজান্তে পাঠানো স্বাগত বার্তায় তাঁর আগাম সম্মতি পর্যন্ত দেওয়া রয়েছে।

আধার কর্তৃপক্ষের মতে, তাদের সঙ্গে এয়ারটেল বা এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্কের চুক্তি মোতাবেক সংস্থাগুলি আধার-তথ্য সুরক্ষিত ও গোপনীয় রাখতে বাধ্য। ফলে এই অভিযোগ আধার আইন লঙ্ঘনেরই নামান্তর। কারণ নিয়ম বলছে, কারও আধার তথ্য ব্যবহার করতে হলে, পূর্ণ সম্মতি নিতেই হবে। না-হলে দৈনিক এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা হবে। বাতিল হতে পারে অভিযুক্তের চুক্তিও। ওই দুই সংস্থার পুরো প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে পিডব্লিউসি-কে দিয়ে অডিটের নির্দেশ দিয়েছে ইউআইডিএআই। দু’ বার এয়ারটেলকে নোটিস দিলেও জবাবে খুশি না-হয়েই ওই নির্দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন