প্রতীকী ছবি।
ভারতে ছ’বছরে ছ’টি শহরে ১১০টি কফিশপ চালুর পরে শেষ পর্যন্ত কলকাতায় পা রাখল টাটা-স্টারবাক্স। শহরে তিনটি বিপণি চালু করে মঙ্গলবার সংস্থাটির দাবি, দীর্ঘ মেয়াদে সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই কোনও শহরে পা রাখে তারা। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর চেয়ে কলকাতায় ব্যবসায়িক সম্ভাবনা কিছুটা কম হওয়াই এই দেরির কারণ।
ভারতে ব্যবসার জন্য টাটা গ্লোবাল বেভারেজেসের সঙ্গে সমান অংশীদারির গাঁটছড়া বেঁধেছিল মার্কিন সংস্থা স্টারবাক্স কফি। ৩১ মার্চের মধ্যে দেশে আরও দু’টি বিপণি চালু হবে বলে কলকাতায় জানান টাটা-স্টারবাক্সের সিইও সুমিত্র ঘোষ।
কলকাতায় দেরিতে পা রাখার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, কোথাও বিপণি খোলার আগে চাহিদা ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা সাফল্য পাবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলে তবেই সেখানে এগোন তাঁরা। সেই কারণেই অনেকের প্রশ্ন, কলকাতা কি
তবে অন্য ছয় শহরের থেকে
বেশ পিছনে?
সৌমিত্রবাবুর অবশ্য দাবি, কলকাতা তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সংস্থা শপিং মল-সহ বিভিন্ন জমজমাট জায়গায় বিপণি খোলে। কলকাতায় আরও কফিশপ খোলার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সংস্থার লগ্নির অঙ্ক জানাননি তিনি।
ভারতে বিপণি খোলায় লাইসেন্স-সহ নানা ছাড়পত্র পেতে দেরিও দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে অন্তরায় ছিল বলে জানান তিনি। তবে তাঁর মতে, এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ভারতে আগেই
• এ দেশে স্টারবাক্সের পা রাখা ২০১২ সালে। যৌথ উদ্যোগ টাটাদের সঙ্গে
• ৬টি শহরে মোট ১১০টি বিপণি
• দিল্লিতে ৪৩টি, মুম্বইয়ে ৩২, পুণেয় ১০, বেঙ্গালুরুতে ১৩, চেন্নাইয়ে ৭, হায়দরাবাদে ৫টি
• এ দিন কলকাতায় খুলল ৩টি