টানা চার দিন ধরে পড়ার পর বুধবার কিছুটা উঠল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স বাড়ল ১০৪.২০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়াল ২৭,৫৬৩.৪৩ অঙ্কে।
এ দিনের উত্থানের বিশেষত্ব হল, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রিকে উপেক্ষা করেই বাজারের মাথা তোলা। পার্টিসিপেটরি নোটের (পি নোট) লগ্নিকারীদের নাম জানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ অনুসন্ধানকারী কমিটি (সিট) সেবির কাছে সুপারিশ করার পর থেকেই বাজার দ্রুত পড়ছিল। কারণ, এই সুপারিশের ভিত্তিতে সেবি আইন প্রণয়ন করতে পারে, এই আশঙ্কায় বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ভারতের বাজার থেকে লগ্নি গুটিয়ে নিতে শুরু করে। সূচকের সেই পতনই থমকে গেল এ দিন।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই আশা, পি নোট নিয়ে সিটের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রতিক্রিয়া লগ্নিকারীদের আশঙ্কা কাটাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির। মঙ্গলবারই জেটলি বলেন, ‘‘সিট-এর সুপারিশ নিয়ে এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেন্দ্র এখনই চটজলদি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হবে। তবে ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নির পরিবেশ বিঘ্নিত হোক এমন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।’’
টানা চার দিন বাজার পড়ার ফলে অনেক ভাল শেয়ারের দর নেমে এসেছে। বুধবার মূলত পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জেরেই সূচকের উত্থান হয়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর। ফলে চড়তে থাকে সূচকের পারা।
তবে বাজারের অনিশ্চয়তা এখনই কাটার তেমন সম্ভাবনা অবশ্য দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে সংসদের অচলাবস্থার বিরূপ প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তা ছাড়া, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও টানা শেয়ার বিক্রি করে চলেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ওই সব সংস্থা গত মঙ্গলবার ভারতের বাজারে ১,৩৭৫.৬৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের সেটেলমেন্টের দিন। এ দিন বাজার আরও কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্য দিকে, বেশ কিছু দিন ধরে পড়ার পরে বুধবার সোনার দাম আর ওঠানামা করেনি। কলকাতার বাজারে ২৪ ক্যারাট এবং ২২ ক্যারাট সোনার দাম মঙ্গলবারের জয়াগাতেই এ দিন আটকে ছিল। ডলারে টাকার দামও ছিল স্থিতিশীল। মঙ্গলবারের মতোই প্রতি ডলারের দাম বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়ায় ৬৩.৯১ টাকা।