—ফাইল চিত্র।
জেট এয়ারওয়েজের বাতিল হওয়া কোনও উড়ানের যাত্রীদের নিজেদের বিমানে স্থান দেবে না এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। সেই এআই, যাদের মাথায় কি না ৫০,০০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা। জেটের ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক প্রায় ৮,২০০ কোটি। দু’টিই মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে ঘুরে দাঁড়াতে।
ধার শোধ না করায় জেটের প্রায় ২১টি বিমান বসিয়ে দিয়েছে ঋণদাতারা। ফলে যাত্রীরা সমস্যায়। নিয়ম অনুসারে, কোনও একটি সংস্থার উড়ান কোনও কারণে বাতিল হলে, অন্য সংস্থাগুলি নিজেদের বিমানে যাত্রীদের জায়গা করে দেয়। আর বদলে সেই সব সংস্থাকে টাকা দেয় উড়ান বাতিল হওয়া সংস্থাটি। সে ক্ষেত্রেই এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এখন থেকে জেট এয়ার এবং তাদের সস্তার শাখা জেট লাইটের বাতিল টিকিট থাকা যাত্রীদের সেই সুবিধা দেওয়া হবে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছে তারা।
জেটকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ঋণকে শেয়ারে বদলানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন শেয়ারহোল্ডাররা। ফলে সিংহভাগ মালিকানা এখন ঋণদাতাদের হাতে। তার উপরে ঋণ ঢেলে সাজার অঙ্গ হিসেবে প্রস্তাব রয়েছে পর্ষদ বদলেরও। ফলে জল্পনা যে, সংস্থার কর্ণধারের পদ ছাড়তে পারেন প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। যদিও শুক্রবার দুঃসময়ে আরও কিছু দিন কর্মীদের পাশে পেতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।