পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছিল আগেই। এ বার ছোট শহরগুলির মধ্যে স্বল্প পাল্লার (১ ঘণ্টা) উড়ান বাড়াতে তার ৫০% আসনে সর্বোচ্চ ভাড়া ২,৫০০ টাকায় বেঁধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। তবে এর জন্য তহবিল জোগাড় করতে সাধারণ রুটে যে শুল্ক বসানোর কথা বলা হয়েছে, তাতে খুশি নয় বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি।
শুক্রবার আঞ্চলিক বিমান পরিবহণ প্রকল্প (রিজিওনাল কনেক্টিভিটি স্কিম) ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। যার নাম দেওয়া হয়েছে উড়ান (ইউডিএএন)। পুরো কথা, ‘‘উড়ে দেশ কা আম নাগরিক’। বিমানমন্ত্রী অশোক গণপতি রাজু জানিয়েছেন, এর আওতায় ছোট শহরগুলির মধ্যে প্রথম উড়ানটি আকাশে পাড়ি দিতে পারে আগামী জানুয়ারিতেই। এবং সে ক্ষেত্রে কম বা উড়ান একেবারেই নেই এমন ৪৭৬-৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে সফর করতে বিমানের অর্ধেক আসনের ভাড়া হবে সর্বোচ্চ ২,৫০০ টাকা। সময়ের হিসেবে যেখানে যেতে লাগে ১ ঘণ্টা। বিমানের বাকি আসনগুলির ভাড়া ঠিক হবে বাজার চলতি দাম অনুযায়ী।
ভাড়ার এই ঊর্ধ্বসীমা অবশ্য ভোগ্যপণ্য সূচকের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করে দেখা হবে। পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছতে উড়ান কতটা সময় নেবে, সেই অনুযায়ীও তা আলাদা হতে পারে। মন্ত্রকের দাবি, এই সব ক্ষেত্রে আঞ্চলিক উড়ানে ভাড়া ১,৪২০ থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যেই থাকবে। হেলিকপ্টারের ক্ষেত্রে, আধ ঘণ্টায় ২,৫০০ টাকা আর এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগলে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা।
তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে গোল বেঁধেছে শুল্ক বসানোর প্রসঙ্গে। দেশ জুড়ে এই আঞ্চলিক উড়ানের জন্য তহবিল জোগাড় করতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ লাভজনক রুটে বিমান ছাড়ার উপর শুল্ক বসানোর কথা বলেছে কেন্দ্র। যার অঙ্ক ‘খুব কম’ হবে বলেই দাবি বিমান পরিবহণ সচিব আর এন চৌবের। কিন্তু এ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিমান সংস্থাগুলি। তাদের অভিযোগ, শুল্ক চাপিয়ে অর্থ জোগাড় করতে গেলে ভাড়ার অঙ্ক বাড়তে পারে। যে কারণে তহবিল জোগাড়ের অন্য পথ খোঁজার উপর জোর দিয়েছে সকলেই।