corona virus

কর্মী ছাঁটাইয়ে কড়া ব্যবস্থার আর্জি

দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ আসছে। অভিযোগ উঠছে, কর্মী ছাঁটাই, বেতনে কাটছাঁট বা শ্রমিকদের অবেতন ছুটিতে যেতে বাধ্য করছে বিভিন্ন সংস্থা। যার কোপ সব থেকে বেশি পড়ছে ঠিকাকর্মীদের গায়ে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কেন্দ্রের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে যে ভাবে বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই কর্মী ও বেতন ছাঁটাই করছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল সর্বভারতীয় কর্মী সংগঠনগুলি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে পাঠানো চিঠিতে এআইটিইউসি, সিটু, ইনটাক-সহ ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, করোনা-সঙ্কট মোকাবিলার এই সময়ে যাতে কোনও সংস্থা কর্মী বা তাঁদের বেতন ছাঁটাই না-করে, সে জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে সংস্থাগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ আসছে। অভিযোগ উঠছে, কর্মী ছাঁটাই, বেতনে কাটছাঁট বা শ্রমিকদের অবেতন ছুটিতে যেতে বাধ্য করছে বিভিন্ন সংস্থা। যার কোপ সব থেকে বেশি পড়ছে ঠিকাকর্মীদের গায়ে।

পরিচিত সংস্থাগুলির মধ্যে স্পাইসজেট ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেতন ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয়েও দুশো জন কর্মীর চুক্তি আপাতত বরখাস্ত করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। আরও অজস্র সংস্থায় এমন ঘটনা আকছার ঘটছে বলে কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ।

Advertisement

২৩ মার্চ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের পাঠানো চিঠিতে শ্রম সচিব হীরালাল সামারিয়া লিখেছিলেন, আপাতত সব সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে না-হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে শ্রম মন্ত্রক। বলছে বেতন ছাঁটাই না-করার কথাও। বিশেষত ঠিকাকর্মীদের। যদি এই সময়ে কেউ ছুটি নেন বা আপাতত বন্ধ রাখতে হয় সংস্থা, তা হলেও যেন বেতন কাটা না-হয়। বরং তাঁকে কাজে উপস্থিত ধরে মেটানো হোক পুরো বেতনই। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। যে আইনের বলে সারা দেশে লক-ডাউন জারি করা হয়েছে, কাজ এবং বেতন ছাঁটাই না-করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে।

ইউনিয়নগুলির প্রশ্ন, মাঠে নেমে ওই নির্দেশ কার্যকর করার তৎপরতা কোথায়? তাদের আর্জি, যে কর্মীদের সামান্য সামাজিক সুরক্ষা নেই, তাঁরা যেন এই সঙ্কটের সময়ে কাজ হারানো কিংবা বেতন ছাঁটাইয়ের যন্ত্রণার মুখে না-পড়েন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করুক কেন্দ্র। এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক সমস্ত রাজ্য সরকারও। সংগঠনগুলি চায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের দুর্দশার দিকেও নজর দিক সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন