চাল, ডাল, নুন, তেল থেকে সাবান, শ্যাম্পু। শহরে এ বার মুদিখানার জিনিসের বাজার দখলের লড়াইয়ে মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন।
মাসকাবারির ফর্দ আর রোজকার কেনাকাটায় কব্জা জমাতে কলকাতায় ‘অ্যামাজন প্যান্ট্রি’ পরিষেবা চালু করছে বছরে ১৩,৫৯৮ কোটি ডলার ব্যবসা করা সংস্থাটি। গ্রোফার্স বা বিগ বাস্কেটের মতো অনলাইন মুদিখানার পরে এ বার অ্যামাজনও এ ক্ষেত্রে পা রাখায় নেটে জোর জমে উঠছে মুদির বাজারের লড়াই।
ভারতে সংগঠিত মুদিখানার ব্যবসা বাড়ছে বছরে ১৭% হারে। ভারতে সংস্থার ভোগ্যপণ্য ব্যবসার দায়িত্বে থাকা সৌরভ শ্রীবাস্তব শহরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘যে দেশে ক্রেতারা মোট খরচের ৭০% মুদিখানায় করেন, সেখানে টাকার অঙ্কে ই-কমার্সে লেনদেন কম নয়।’’ এ দেশে তাদের এই ব্যবসা ১৬৫% হারে বাড়ছে। কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো বড় শহরের পাশাপাশি আম্বালা, দেহরাদূন, মোহালির মতো ছোট শহরে পা রেখেছে অ্যামাজন প্যান্ট্রি। সংস্থার দাবি, এখানে মিলছে ১৯ লক্ষ পণ্য। দৌড়ে এগিয়ে থাকতে তাদের বাজি পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো, দামে সুবিধা ও পরের দিন বাড়ি পৌঁছে দেওয়া।
শুধু গ্রোফার্স বা বিগ বাস্কেটের মতো অনলাইন মুদিখানা নয়। এ ক্ষেত্রে অ্যামাজনের প্রতিযোগী স্পেনসার্স, বিগ বাজার, রিলায়্যান্স ফ্রেশের মতো রিটেল চেনও। এদের সঙ্গে পাল্লা দিতে সংস্থা ঠিক করেছে বেতন পাওয়ার কাছাকাছি দিনে দামে ছাড় দেওয়া হবে।