করদাতা গা-ঢাকা দিলে ব্যবস্থা

এত দিন কর বাকি পড়লে প্যান কার্ড, আয়কর রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট নথিতে করদাতার দেওয়া ঠিকানাতেই নোটিস পাঠাতেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেশ কিছু করদাতা গা-ঢাকা দিতে ঠিকানা বদলে ফেললে তাঁর নাগাল পেত না আয়কর দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৪২
Share:

আয়কর ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বার করতে আরও কড়া হচ্ছে আইন। আয়কর বিধিতে সংশোধনী এনে ওই ধরনের ফাঁকি ধরতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কর-কর্তাদের। যার জেরে বিপুল অঙ্কের আয়কর ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন ঠিকানায় লুকিয়ে থাকলেও তাঁকে হাতেনাতে ধরতে ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা, পুর কর্তৃপক্ষের তথ্যভাণ্ডার বা অন্যান্য সরকারি নথি কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। ওই ব্যক্তির হদিস পেলে সেখানেই তাঁকে বকেয়া কর জমা দেওয়ার নোটিস বা সমন পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদনের পরে সংশোধিত বিধির বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ, যে-নথি ইতিমধ্যেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে এসেছে।

Advertisement

এত দিন কর বাকি পড়লে প্যান কার্ড, আয়কর রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট নথিতে করদাতার দেওয়া ঠিকানাতেই নোটিস পাঠাতেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেশ কিছু করদাতা গা-ঢাকা দিতে ঠিকানা বদলে ফেললে তাঁর নাগাল পেত না আয়কর দফতর। কারণ, কর এড়াতে ওই ঠিকানা অনেকেই জানান না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে নতুন আইনে ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, বিমা সংস্থা, কৃষি আয়ের রিটার্ন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড, পুরসভা বা পঞ্চায়েতের নথি, আর্থিক লেনদেন-স্টেটমেন্ট ইত্যাদিতে জানানো ঠিকানাও কাজে লাগানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে কর-কর্তাদের।

বেশ কিছু আয়করদাতা কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের লুকোনো ডেরা থেকে খুঁজে বার করে কর আদায় ও জরিমানার ব্যবস্থা করাই এর লক্ষ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement