Revenue Loss

রাজ্যগুলির রাজস্ব আয়ে ধাক্কার ইঙ্গিত

গত অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে চলতি বছরেও ধার শোধ করতে এবং কর্মীদের বেতন-পেনশন দিতে বাজার থেকে তাদের বিপুল ধার করতে হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

লক্ষ্য ছিল রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় বৃদ্ধির হারকে ১৭.৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তবে তা পূরণের সম্ভাবনা যে তেমন নেই, সেই ইঙ্গিত উঠে এল উপদেষ্টা সংস্থার সমীক্ষায়। বরং ইক্রা রেটিংসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম আট মাসে (এপ্রিল-নভেম্বর) দেশের ১৬টি বড় রাজ্যের আয় বৃদ্ধির হার মাত্র ৫%। তার উপর, গত অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে চলতি বছরেও ধার শোধ করতে এবং কর্মীদের বেতন-পেনশন দিতে বাজার থেকে তাদের বিপুল ধার করতে হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জিএসটি চালুর সময়ে রাজ্যগুলির কর বাবদ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। ফলে তাদের আয় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা ছিলই। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, তার কথাই উঠে এসেছে রিপোর্টে।

Advertisement

রাজস্ব কমার একাধিক কারণকে চিহ্নিত করেছে ইক্রা। এর মধ্যে রয়েছে তেলের চাহিদা কমায় বিক্রয় কর থেকে আদায় সরাসরি ১.৪% কমে যাওয়া, জিএসটি খাতে যতটা অর্থ ঘরে আসবে বলে মনে করা হয়েছিল তার থেকে অনেকটাই কম আসা (১২টি রাজ্যের ক্ষেত্রে ৯%-১৫%), উৎপাদন শুল্ক এবং স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খাতে রোজগারে ভাটা। ফলে কর বাবদ রাজ্যগুলির নিজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি থমকেছে ১১ শতাংশে। যা ২০% হবে বলে পূর্বাভাস ছিল। তার উপরে খাঁড়ার কোপ বসিয়েছে, কেন্দ্রের অনুদান বাবদ প্রদত্ত অর্থের পরিমাণে ছাঁটাই, দাবি সংস্থাটির।

বিশেষত লক্ষ্যমাত্রার ৫৫% বিক্রয় কর আদায়কে চিন্তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ১৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টির ক্ষেত্রেই বছরের হিসাবে কেন্দ্রীয় অনুদান কমেছে। সব মিলিয়ে তা কমেছে ৩১%, যেখানে ১৯.৮% বৃদ্ধির অনুমান ছিল। ইক্রার মতে, রাজ্যগুলিকে কর বাবদ এ বছর ৩০,০০০ কোটি টাকা বেশি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু রাজস্ব সংগ্রহ এমন জায়গায় যে, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আদায় বাড়লে এবং অনুদান বেশি এলেও লক্ষ্য ছোঁয়া অসম্ভব।

Advertisement

রাজ্যগুলির আয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেক নিজস্ব কর সংগ্রহ। ২৫% কেন্দ্রের করের ভাগ, ১৭% অনুদান এবং ৮% কর বাদে অন্যান্য খাতে আয়। নিজস্ব কর সংগ্রহের মধ্যে ৪০% জিএসটি। বিক্রয় কর (মূলত তেল-মদ) ২৪%, উৎপাদন শুল্ক ১৪%, স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খাতে ১১% করে। বাকিটা অন্যান্য খাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন