CAL Tel

মেটানো হয়েছে আরও বকেয়া, দাবি ক্যাল-টেলের

পুরনো প্রথায় ক্যাল-টেলে হাজার চারেক ঠিকা কর্মী তৎকালীন বিভিন্ন ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করতেন। কিন্তু গত বছর থেকে সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের জেরে ঠিকাদারদের পাওনা মেটানো ধাক্কা খায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

পুরনো ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তির সিংহভাগই বণ্টন করা হয়েছে বলে দাবি করল বিএসএনএলের কলকাতা শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যাল-টেল)। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, আপাতত জমা পড়া সব বিলই মেটানো হয়েছে।

Advertisement

পুরনো প্রথায় ক্যাল-টেলে হাজার চারেক ঠিকা কর্মী তৎকালীন বিভিন্ন ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করতেন। কিন্তু গত বছর থেকে সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের জেরে ঠিকাদারদের পাওনা মেটানো ধাক্কা খায়। কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁদের বেতন বাকি প্রায় এক বছর। শুরুতে আর্থিক সঙ্কটের কথা মানলেও সংস্থার দাবি, পরে ঠিকমতো বিল জমা পড়েনি। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী আগে ঠিকাদারদের কর্মীদের পিএফ-ইএসআই মেটানোর কথা। সেই সঙ্গে জিএসটি দেওয়ার পরে বিল জমা দেওয়ায় কথা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা না-হওয়ায় বিল মেটানো যাচ্ছিল না।

উল্লেখ্য, বিএসএনএলের সদর দফতর ওই খাতে দু’দফায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগের নতুন নিয়ম চালু করতে পুরনো ঠিকা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাজে বাধার অভিযোগ ওঠে। তাতে কিছু টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হলেও পরে অবশ্য তা হয়নি।

Advertisement

সংস্থা জানিয়েছে, তৃতীয় দফায় আরও ১০ কোটি বরাদ্দ হয়েছিল। তার সিংহভাগ অর্থ বিল মেটাতে খরচ হয়েছে। কোনও বিল আপাতত পড়ে নেই। ফলে অনেক কর্মীই গত মার্চ পর্যন্ত বকেয়া পেয়েছেন। যাঁদের তার চেয়ে বেশি দিন বকেয়া রয়েছে, তাঁদের বিল জমা পড়েনি। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরে ওই কর্মীদের কর্মদিবস অর্ধেক করা হয়। ফলে তখন বেতনও কম হবে। তাদের আশ্বাস, নিয়ম মেনে বিল জমা দিলে দ্রুত তা মেটানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন