সংস্কারের জেরে দু’দশকে দৌড়বে অর্থনীতি: জেটলি

জেটলি সংস্কারের সাফল্য দাবি করলেও, এ দিনই অর্থনীতির কাঠামো বদল করতে আরও বেশি সংস্কারে জোর দিয়েছেন আইএমএফের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর কেনেথ ক্যাং। এর জন্য তিনি তুলে ধরেন তিন দফা কর্মসূচি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২১
Share:

মিলে-মিশে: আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে-কে নিয়ে দল বেঁধে ছবি তুলছেন জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নররা। এই দলে রয়েছেন অরুণ জেটলি ও উর্জিত পটেলও। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠক উপলক্ষে ওয়াশিংটনে জড়ো হয়েছেন তাঁরা সবাই। ছবি: এএফপি।

জোরকদমে অর্থনীতির ভোলবদলের জেরেই আগামী দু’দশকে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির রথ ছুটবে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠক উপলক্ষে মার্কিন সফরে এসে শনিবার এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, এ দিনই অর্থনীতির ধাঁচ বদলাতে ভারতকে তিন দফা সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।

Advertisement

এখানে ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরামের সভায় পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালুর প্রতি ইঙ্গিত করে জেটলির দাবি, ব্যবসা করার পরিবেশই বদলে গিয়েছে গত কয়েক মাসে। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী দু’দশকে দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট রসদ ভারতের অর্থনীতির রয়েছে। সরকারের তরফে এর কাঠামো বদলাতে একগুচ্ছ সংস্কার কর্মসূচি রূপায়ণ করাই তার মূল কারণ। এর সঙ্গেই তাল মেলাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং এ দেশে পরিকাঠামো শিল্পে বিপুল লগ্নির সুযোগ।’’ বিশ্ব অর্থনীতির হাল ফেরা যে বৃদ্ধির রথকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, সেই মন্তব্য করে জেটলি বলেন, ভারতের মতো বড় দেশে লগ্নির সুযোগ বিদেশিরাও হাতছাড়া করতে চাইবেন না।

আইএমএফের দাওয়াই

Advertisement

• দেশে শ্রম আইনের সংখ্যা কমিয়ে আনা

• পরিকাঠামোর হাল ফেরানো

• নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানো

জেটলি সংস্কারের সাফল্য দাবি করলেও, এ দিনই অর্থনীতির কাঠামো বদল করতে আরও বেশি সংস্কারে জোর দিয়েছেন আইএমএফের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর কেনেথ ক্যাং। এর জন্য তিনি তুলে ধরেন তিন দফা কর্মসূচি। যার মধ্যে রয়েছে— শ্রম আইনের সংখ্যা ছাঁটা, পরিকাঠামো আরও উন্নত করা এবং বিভিন্ন নীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমানো।

ক্যাং বলেন, এই মুহূর্তে ভারতে শ্রম আইন ২৫০টি। এটা দ্রুত কমানো জরুরি। আর নারী-পুরুষের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক কমলে মেয়েদের কাজের সুযোগ বাড়বে। যা বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতেও সাহায্য করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন