এতদিন সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে সব আইন ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে কোম্পানি সেক্রেটারিদের তৈরি অডিট রিপোর্ট জনসমক্ষে আনার বাধ্যবাধকতা ছিল না কর্তৃপক্ষের। পর্ষদে ওই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পরে তা শেয়ার বাজার কর্তৃপক্ষকে জানানো বা সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করতে হত না। কিন্তু সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে ওই রিপোর্ট স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টেও। এই নতুন নিয়ম সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াবে বলে মন্তব্য ইনস্টিটিউট অব কোম্পানি সেক্রেটারিজের (আইসিএসআই) সভাপতি রঞ্জিত পাণ্ডের। আগামী ৩১ মার্চ থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে সেবি।
নতুন ওই নিয়ম চালু করার উদ্দেশে সেক্রেটারিয়াল অডিটের ব্যাপারে সেবির ২০১৫ সালের নিয়মাবলিতে নতুন একটি ধারা (২৪এ) যোগ করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এতে বিশেষত উপকৃত হবেন সংস্থার শেয়ারহোল্ডাররা। নতুন কোনও লগ্নিকারী সংস্থায় বিনিয়োগ করতে চাইলে, আগেভাগেই দেখে নিতে পারবেন ওই রিপোর্ট। পাশাপাশি এত দিন মূল সংস্থার ক্ষেত্রে ওই অডিট করানো বাধ্যতামূলক ছিল। সেবির নির্দেশ, এখন থেকে মূল সংস্থার পাশাপাশি তার শাখাগুলির ক্ষেত্রেও তা করাতে হবে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট শিল্প গোষ্ঠীর মোট আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ ওই শাখা থেকে এলে তবেই তারা নতুন নিয়মের আওতায় পড়বে। পাণ্ডে বলেন, সম্প্রতি আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ডে দেখা গিয়েছে, গলদ রয়েছে শাখাগুলির ক্ষেত্রেও। নতুন নিয়ম ব্যাঙ্কগুলির পক্ষেও ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি মাপার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
পান্ডে জানান, সেক্রেটারিয়াল অডিটে স্বচ্ছতা আনতে আইসিএসআই নতুন কিছু পাঠ্যক্রম চালু করেছে। পণ্যপরিষেবা কর ব্যবস্থা সঠিক ভাবে কোনও সংস্থায় পরিচালিত হচ্ছে কী না, সেই বিষয়ের উপর নজর রাখার উদ্দেশে কোম্পানি সেক্রেটারিদের দক্ষতা বাড়াতে নতুন একটি কোর্সও চালু করেছে আইসিএসআই।