প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ওঠার পর থেকে কিছুটা করে বাড়ছে গাড়ি বিক্রি। বৃহস্পতিবার এই শিল্পের সংগঠন সিয়ামের হিসেব, পাইকারি বিক্রি অর্থাৎ শো-রুমে রেখে বিক্রির জন্য ডিলাররা জানুয়ারিতেও ডিসেম্বরের তুলনায় একটু বেশি গাড়ি কিনেছে সংস্থাগুলির থেকে। তবে তাতে উদ্বেগ যে কাটছে না, সেটাও জানিয়েছে তারা। সিয়ামের দাবি, গাড়ি শিল্প আসলে পিছিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। সেখান থেকে ফিরে আসাটাই এখন চ্যালেঞ্জ। চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-জানুয়ারির (১০ মাস) পরিসংখ্যান বলছে, এই সময় যাত্রিগাড়ির বিক্রি ২০১৪-১৫ সালের থেকে কম আর দু’চাকার ২০১৩-১৪ সালের চেয়েও নীচে।
সিয়ামের বক্তব্য, চাহিদা কম তো বটেই, সেমিকন্ডাক্টর-সহ গাড়ি তৈরির বিভিন্ন উপাদানের জোগান-শৃঙ্খলের সমস্যা, ইস্পাতের মতো কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদিও ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার কারণ। সংগঠনের ডিজি রাজেশ মেনন জানান, ‘‘এপ্রিল-জানুয়ারিতে ২০.৫৪ লক্ষ যাত্রিগাড়ি বিক্রি হয়েছে, যেখানে ২০১৪-১৫ সালে হয়েছিল ২১.১ লক্ষ। ওই সময়ে এ বার বিকিয়েছে প্রায় ১.২১ কোটি দু’চাকা। ২০১৩-১৪ সালে হয়েছিল প্রায় ১.২২ কোটি।’’
জানুয়ারিতে অবশ্য গত বছরের তুলনায় যাত্রিবাহী ও দু’চাকার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ১১% ও ৬.৬%। তিন চাকার কমেছে ৫৬.৭%। কিন্তু এত পিছন থেকে এগোতে কত সময় লাগবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছে শিল্পমহলে।