Infocom 2023

নজরে তথ্য সুরক্ষা, ব্যয় বৃদ্ধি সংস্থার

গ্রাহকের তথ্যভান্ডার যাতে অন্য কারও হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কী করতে হবে সংস্থাগুলিকে? এই প্রেক্ষিতে সংস্থা, ভেন্ডর, গ্রাহক-সহ সমস্ত পক্ষের ভূমিকাকে একত্রিত করে তৈরি হয়েছে ‘ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:২০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সরকারি প্রকল্পের আবেদন, চাকরির ইন্টারভিউ, হাসপাতালে ভর্তি, পরিষেবার আবেদন-সহ হাজারো জায়গায় জমা দিতে হয় ব্যক্তিগত নথি। যার মধ্যে থাকে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, প্যান, আধার-সহ বিভিন্ন তথ্য। কিন্তু গ্রাহকের সেই তথ্যভান্ডার যাতে অন্য কারও হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কী করতে হবে সংস্থাগুলিকে? এই প্রেক্ষিতে সংস্থা, ভেন্ডর, গ্রাহক-সহ সমস্ত পক্ষের ভূমিকাকে একত্রিত করে তৈরি হয়েছে ‘ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল’। শনিবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকমের তৃতীয় তথা শেষ দিনে এই সংক্রান্ত আলোচনায় অতিথিদের বক্তব্য, ডিজিটাল দুনিয়ার ব্যাপ্তি বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকি বেড়েছে। ফলে তা সুরক্ষিত করতে সংস্থাগুলির দায়িত্ব যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনই বেড়েছে গ্রাহকদের সচেতনতার প্রয়োজনীয়তাও। সংস্থাগুলির দাবি, সাইবার নিরাপত্তা খাতে গত দেড়-দু’বছরে বিপুল খরচ বেড়েছে তাদের।

Advertisement

এ দিন আরপি সঞ্জীব গোয়েন্‌কা গোষ্ঠীর মুখ্য তথ্য নিরাপত্তা আধিকারিক কৌশিক সাহার বক্তব্য, সারা বিশ্বে যে ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, নানা ক্ষেত্রে সরবরাহের ফলে প্রতি ছ’মাসে তার পরিমাণ দ্বিগুণ হচ্ছে। ফলে তা সুরক্ষিত রাখাও হয়ে উঠছে কঠিনতর। খেতান অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার সুপ্রতিম চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে তথ্য সুরক্ষা আধিকারিক নিয়োগ। নিয়ম না মানলে জরিমানা গুনতে হবে সংস্থাকে। সেই সঙ্গে কোন পরিষেবায় গ্রাহকের থেকে কতটা তথ্য চাওয়া যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করা জরুরি।

অন্য এক আলোচনায় শ্রী ফিনান্সিয়ালসের প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক জৈন জানান, প্রতিদিন বিশ্বে ৪০০ কোটি ই-মেল চালাচালি হয়। তার মধ্যে সাইবার হানার শিকার হয় অন্তত ৩০ লক্ষ। এগুলির মধ্যে ব্যবসায়িক ই-মেল যেমন আছে, তেমনই অনেকে হ্যাকারের ফাঁদেও পড়েন। তাই কাদের তথ্য দেওয়া উচিত, আর কাদের নয়, তা নিয়ে মানুষের সচেতনতা জরুরি।

Advertisement

এলটিআই মাইন্ডট্রি-র কর্তা সোমক সোমের কথায়, ‘‘সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিও এখন বিমার আওতায় এসেছে। কিন্তু সুরক্ষাকে নিশ্ছিদ্র করার দায়িত্ব সংস্থাকে নিতেই হবে।’’ পিএনবি মেটলাইফের মুখ্য তথ্য নিরাপত্তা আধিকারিক শক্তি প্রধান জানান, গত দু’বছরে তাঁরা এই খাতে ৭০% খরচ বাড়িয়েছেন। সি কে বিড়লা হসপিটালের তথ্য আধিকারিক মিতালি বিশ্বাসের দাবি, প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ অর্থের ৪০% খরচ তাঁরা করেন সাইবার নিরাপত্তা খাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন