Bank

নোটবন্দির জের? ব্যাঙ্কে টাকা জমা বৃদ্ধির হার ৫৫ বছরে সর্বনিম্ন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোটবন্দির প্রভাব তো আছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের চাহিদা। মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইনসিওরেন্স-সহ বিভিন্ন আর্থিক সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে নানা রকম সুবিধা পেয়ে যাওয়াতেই ব্যাঙ্কগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ১৫:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ বার ব্যাঙ্কগুলিতে নোটবন্দির পাল্টা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কে টাকা জমার বৃদ্ধির হার ৬.৭। যা গত ৫৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোটবন্দির প্রভাব তো আছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের চাহিদা। মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইনসিওরেন্স-সহ বিভিন্ন আর্থিক সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে নানা রকম সুবিধা পেয়ে যাওয়াতেই ব্যাঙ্কগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। আর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে ব্যাঙ্কগুলির উপর।

২০১৬-য় নোটবন্দির পরে প্রায় ৮৬ শতাংশ নগদ টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। কিন্তু এ বার সেই নোটবন্দিরই উল্টো প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যাঙ্কগুলিতে। সমীক্ষা বলছে, ওই সময় যে পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত হয়েছিল, তা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি টাকার যে আকাল দেখা গিয়েছিল এটিএমগুলোতে, ব্যাঙ্ক থেকে গচ্ছিত টাকা বেরিয়ে যাওয়া তার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নোটবন্দির পর ব্যাঙ্কে পুরনো নোটে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ১৫.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষ শেষে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছিল ১০৮ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৮-র মার্চে সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৪ লক্ষ কোটি টাকায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাজ বাড়াতে অস্ত্র পেনশন প্রকল্পও

আরও পড়ুন: চাহিদা কমেছে সোনার

সমীক্ষা বলছে, আগে যে পরিমাণ টাকা গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখতেন, এখন সেই টাকাই মিউচুয়াল ফান্ড এবং অন্য আর্থিক প্রকল্পগুলোতে ব্যবহার করছেন। দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-’১৮ আর্থিক বর্ষে মিউচুয়াল ফান্ডের বৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন