ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদা পাঁচ বছরে সর্বাধিক

বিশেষজ্ঞদের মতে, নগদের সঙ্কটে ভুগছে দেশের ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি (এনবিএফসি)। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোয় ঋণদাতা আইএল অ্যান্ড এফএস ধারের টাকা ফেরত না দিতে পারার পরে অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সুদের হার গত কয়েক মাসে টানা বাড়লেও, অক্টোবরের শেষে দেশে ব্যাঙ্কগুলির ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৪.৪১%। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, ২৬ অক্টোবর শেষ হওয়া পক্ষে (১৫ দিনে) তা দাঁড়িয়েছে ৯৩.০১ লক্ষ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে যা সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শেষ বার ১৬.৬% হারে বেড়েছিল ব্যাঙ্কের ঋণের চাহিদা।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, নগদের সঙ্কটে ভুগছে দেশের ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি (এনবিএফসি)। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোয় ঋণদাতা আইএল অ্যান্ড এফএস ধারের টাকা ফেরত না দিতে পারার পরে অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়েছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অন্যান্য এনবিএফসিগুলিকে ঘিরেও। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কের ঋণ বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।

সাধারণত এনবিএফসিগুলি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অথবা মূলধনী বাজার থেকে টাকা জোগাড় করে, সেই অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধার দেয় বা সরাসরি লগ্নি করে। অনেকের ধারণা, সামগ্রিক ভাবে এই শিল্পেরই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার জেরে মূলধনী বাজার থেকে তাদের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ব্যবসা চালিয়ে যেতে এখন ব্যাঙ্কের ঋণের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে এনবিএফসিগুলিকে। যা বাড়াচ্ছে ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদাও।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১ থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে এনবিএফসিগুলিকে ৬০,০০০ কোটি টাকা ফেরত দিতে হত। আর এ মাসের শেষে আরও ৯০,০০০ কোটি শোধ দিতে হবে সংস্থাগুলিকে। যার মধ্যে ৭০,০০০ কোটি টাকা ঋণপত্রে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই চাহিদা শুধু ব্যাঙ্কের ঋণের পরিমাণ বাড়াচ্ছে তা নয়। বরং ব্যাঙ্কগুলির সামনে সুযোগ তৈরি করছে বাজার দখল বাড়ানোরও। কারণ তাদের মতে, এর জেরে যে সমস্ত ক্ষেত্রে এনবিএফসিগুলি পরিষেবা দেয়, সেই সব ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির সরাসরি ঋণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

তবে আলোচ্য সময়ে ঋণের চাহিদা বাড়লেও, আমানত কমেছে বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান। ২৬ অক্টোবর শেষ হওয়া পক্ষে তা ১২০.৭১ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ১২ অক্টোবর শেষ হওয়া ১৫ দিনে তা ছিল ১২০.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন