Bankruptcy Amendment bill

পাশ দেউলিয়া সংশোধনী

সাধারণত সংস্থা ঋণ নিলে কেউ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রোমোটার) তার গ্যারান্টর থাকেন। নিয়ম অনুসারে, মূল ঋণগ্রহীতা ধার শোধ না-করলে, গ্যারান্টরকে তা মেটাতে হয়। এ দিন অর্থমন্ত্রীর কথায়, ঋণ খেলাপের সমস্যা মেটাতে হলে মূল ঋণগ্রহীতার পাশাপাশি গ্যারান্টরের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা জরুরি। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:১৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

করোনার কারণে আর্থিক সঙ্কটে পড়া যে সমস্ত সংস্থা ঋণ মেটাতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ থেকে দেউলিয়া আইনে মামলা অন্তত ছ’মাস বন্ধ রাখতে আগেই অধ্যাদেশ জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত সংশোধনীই শনিবার পাশ হল রাজ্যসভায়। এই ছ’মাসের মেয়াদ পরের সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে। তা আরও বাড়ানো সম্ভব কি না, সেটা নিয়ে আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।তবে বিরোধীদের অনেকের অভিযোগ, দেউলিয়া আইনে সংশোধনী এনে ‘বন্ধু’ কর্পোরেট সংস্থাগুলির সুবিধা করে দিচ্ছে না কেন্দ্র? কেন ঋণে সে রকম কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না চাষি বা সাধারণ মানুষ? বিরোধীদের দাবি, তা নিয়েও ভাবুক সরকার। পাশাপাশি, দেউলিয়া আইনের অপব্যবহার যাতে না-হয়, তা নিশ্চিত করুক কেন্দ্র। সেই সঙ্গে ধুঁকতে থাকা শিল্পগুলির ঋণে সুদে ছাড়ের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তাঁরা।

Advertisement

বিরোধীদের তোপ

• দেউলিয়া আইনে ব্যাঙ্কগুলিকে গড়ে প্রাপ্য বকেয়ার প্রায় ৫০% ছাড়তে হচ্ছে।
• ৩ লক্ষ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে।
• কিস্তিতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলে বহু সংস্থা সমস্যায় পড়বে।
• নতুন সংশোধনীর ফলে ব্যাঙ্কিং শিল্প চূড়ান্ত সঙ্কটে পড়তে পারে।
• শিল্পের সুবিধার পাশাপাশি কৃষি ঋণে সুদ

Advertisement

সাধারণত সংস্থা ঋণ নিলে কেউ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রোমোটার) তার গ্যারান্টর থাকেন। নিয়ম অনুসারে, মূল ঋণগ্রহীতা ধার শোধ না-করলে, গ্যারান্টরকে তা মেটাতে হয়। এ দিন অর্থমন্ত্রীর কথায়, ঋণ খেলাপের সমস্যা মেটাতে হলে মূল ঋণগ্রহীতার পাশাপাশি গ্যারান্টরের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা জরুরি। নির্মলার দাবি, দেউলিয়া আইনের মাধ্যমে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংস্থা চালু রেখে ঋণ খেলাপের সমস্যা মেটানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫৮টি সংস্থাকে বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। যাদের মোট সম্পদ প্রায় ৯৬,০০০ কোটি টাকা। গোটানো হয়েছে ৯৬৫টিকে। যাদের অধিকাংশের অস্তিত্ব ছিল না। সেগুলির সম্পদ ৩৮,০০০ কোটির। এই আইনে ব্যাঙ্কগুলিকে কেন মোটা বকেয়া ছাড়তে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ, বহু সংস্থা ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে ঋণ নিয়েছে। তারাও এই আইনের সুবিধা পেলে সরকারের টাকাই লুঠ হচ্ছে না কি? যেখানে কর্পোরেট সংস্থাগুলির ৩ লক্ষ কোটির ঋণ ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে! নির্মলার যদিও দাবি, এই আইনের মাধ্যমে ৪২.৫% অনাদায়ি ঋণ ফিরেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন