প্রত্যাশা মতোই ছ’দশক পরে লাভের মুখ দেখল শতাব্দী প্রাচীন বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস (বিসিপিএল)। ২০১৬-’১৭ সালে চার কোটি টাকা নিট মুনাফা হাতে নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে হাঁটতে চলেছে সংস্থাটি। মে মাস থেকেই মানিকতলা কারখানায় ই়ঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগ করার অত্যাধুনিক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরি শুরু হবে।
বুধবার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকের পরে সংস্থার কার্যনির্বাহী ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিএম চন্দ্রাইয়া নিট লাভের কথা জানান। অডিটের পরে তা আরও বাড়বে বলেই তাঁদের আশা। ‘ডেপ্রিসিয়েশন’ বা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, সুদ ও কর দেওয়ার আগে সংস্থার আয় হয়েছে ২৩ কোটি টাকা, যা ইতিহাসে প্রথম। ফলে ব্যাঙ্কের ২৬ কোটি ঋণের অর্ধেক তারা শোধ করেছে। পণ্য বিক্রির প্রত্যক্ষ খরচ ৭৬% থেকে কমে হয়েছে ৪৮%। সংস্থা পরিচালনায় উন্নতি ঘটিয়েই এই সাফল্য, দাবি করে তাঁর আশা, ২০১৭-’১৮ সালে ১০ কোটি টাকা লাভ দেখবে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিসিপিএল বিলগ্নিকরণ বা বেসরকারি লগ্নির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটিতে শঙ্কার মেঘ ছড়ায়। চন্দ্রাইয়া অবশ্য জানান, এ দিন পর্ষদের বৈঠকে তা নিয়ে কোনও কথা হয়নি। নতুন করে কেন্দ্রের কাছ থেকেও কোনও বার্তা আসেনি। মার্চেই মানিকতলার কারখানায় অত্যাধুনিক অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন তৈরির ছাড়পত্র পেয়েছে সংস্থা।