কে কোথায় দাঁড়িয়ে
কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো তথ্যপ্রযুক্তির হাব হিসেবে পরিচিত রাজ্য তো বটেই, স্টার্ট-আপের (নতুন উদ্যোগে) উপযুক্ত পরিবেশের নিরিখে রাজ্যের থেকে এগিয়ে রয়েছে বিহারও। শিল্প ক্ষেত্রে যাদের স্থান অন্তত দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে নয়। তেমন ছবিই উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নীতি ও উন্নয়ন দফতরের প্রকাশিত ক্রম তালিকায়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষে গুজরাত। আর রাজ্য তৃতীয় সারিতে। একই পংক্তিতে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ। কেন্দ্র যাদের চিহ্নিত করেছে আগামী দিনে সামনের সারিতে উঠে আসতে চাওয়া (অ্যাস্পায়ারিং লিডার্স) রাজ্য হিসেবে। এ বিষয়ে রাজ্যের শিল্প, অর্থ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্টার্ট-আপ নীতি, পরীক্ষা কেন্দ্র (ইনকিউবেশন), নতুন ব্যবসায় পুঁজি জোগানো থেকে শুরু করে তাদের আড়েবহরে বাড়িয়ে তোলার বন্দোবস্ত— এই সমস্ত মাপকাঠিতে নতুন ব্যবসা শুরুর উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন রাজ্য কোথায় দাঁড়িয়ে, তার ভিত্তিতেই এই ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
অনেকে বলছেন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মতো বিস্তর ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র কথা মোদী সরকার ঘোষণা করলেও, তেমন সাড়া মেলেনি। তাই এখন মেয়াদ শেষের মুখে এসে নতুন ব্যবসাকে উৎসাহ জোগানোর কথা আরও বেশি করে বলছে তারা। লক্ষ্য, তার হাত ধরে কর্মসংস্থানও। কেন্দ্রের বক্তব্য, স্টার্ট-আপগুলি করছাড়ের আবেদন করুক। তার জন্য একটি আর্ন্তমন্ত্রক পর্ষদ গড়া হবে। কথা হোক অ্যাঞ্জেল কর নিয়ে। কর সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির কথাও বলছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ।