তেরো বছর অতিক্রান্ত। চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি হল না। ভারত, বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা-সহ এই গোষ্ঠীভুক্ত ৭টি দেশের মধ্যে যাতে অবাধে বাণিজ্য সম্ভব হয়, তার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি।
ঠিক এক সপ্তাহ বাদে কাঠমান্ডুতে শুরু হতে চলেছে বিমস্টেক-এর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন। ঠিক তার আগে এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা সম্প্রতি ফিকি-র এক আলোচনাচক্রে এই মর্মে হতাশা প্রকাশ করলেন।
বণিকসভা সূত্রের খবর, শুধুমাত্র মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি না-হওয়াই নয়, আরও কিছু বিষয় নিয়ে বিমস্টেক উদ্যোগের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রদূতেরা। বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের এই দেশগুলিকে নিয়ে অর্থনৈতিক, পরিকাঠামোগত এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনাগুলি নেওয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতিও খুবই মন্থর। অভিযোগ, মায়ানমার-ভারত-তাইল্যান্ডের মধ্যে ১৪০০ কিলোমিটার সড়ক সংযোগ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছে ঢিলেমি। যদিও সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, আগামী বছর কেন, কবে এই হাইওয়ে দিয়ে পূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ বাস্তবায়িত হবে, তা পুরোপুরি অথৈ জলে।
বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের সর্বসম্মত বক্তব্য, পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশ্নে মোট ১৪টি ক্ষেত্রকে গোড়া থেকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কিন্তু এতগুলি বিষয় থাকায় সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও কিছুকেই এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্যের গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, শক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবেশ দূষণ, সন্ত্রাস বিরোধিতার মত মুখ্য
বিষয়গুলি পৃথক অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। সমস্যাটা সেখানেই। আসন্ন বৈঠকে তার কতটা সমাধান হয়, সেটাই দেখার।