ব্রেক্সিটের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কী হতে পারে, তা খতিয়ে না-দেখে টাটা স্টিল যে ব্রিটেনের ইস্পাত ব্যবসা বেচতে চাইছে না, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানে পৌঁছতে মুম্বইয়ে ভারতীয় ইস্পাত বহুজাতিকের সদর দফতরে ফের পা রাখতে চলেছেন ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। বিষয়টি নিয়ে সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
শুক্রবার বসছে টাটা স্টিলের পরিচালন পর্ষদের মাসিক বৈঠক। তার আগেই টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জাভিদের। ব্রিটিশ বাণিজ্য দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘এখানকার বিপাকে পড়া ইস্পাত শিল্পকে চাঙ্গা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি রফা খুঁজতে ও সেই প্রক্রিয়ায় গতি আনতে সরকার টাটাদের সঙ্গে যে কথাবার্তা চালাচ্ছে, এটা তারই অঙ্গ।’’
এ দিকে, বিবিসি-র খবর, ব্রিটেনে ব্যবসা বিক্রির প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার কথা শুক্রবারের বৈঠকেই টাটারা ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ব্রিটেনে বিশেষ ধরনের কিছু ইস্পাত তৈরির ব্যবসা বেচার পথে এগোতে পারে সংস্থাটি। যেখানে কাজ করেন প্রায় ২,০০০ কর্মী। সংস্থার হার্টলপুল, রদারহ্যাম ও স্টকসব্রিজ-এর কারখানা পড়বে এর আওতায়। সে ক্ষেত্রে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দেওয়ায় তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার আবহে পোর্ট ট্যালবট-সহ বাকি কারখানাগুলির হাতবদলের প্রক্রিয়া স্থগিতই থাকবে। বিশেষ করে হালে ইস্পাতের দাম বাড়ায় সংস্থার লোকসানের বহর যেহেতু একটু কমেছে, তাই অনাবশ্যক ঝুঁকি নেবে না তারা।
অন্য দিকে, আর এক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, টাটার ব্রিটেন-ব্যবসার সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে মাত্র একটি দরদাতাই এখনও রয়ে গিয়েছে। আর সেটি হল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সঞ্জীব গুপ্তের সংস্থা লিবার্টি হাউস। দৌড়ে গুপ্ত নাকি সকলকেই বহু পিছনে ফেলেছেন।