Nirmala Sitharaman

ফ্রেট করিডরে পিপিপি

পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রেট করিডরের বাইরেও খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া এবং ভুসাবল-খড়্গপুর-ডানকুনি ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র

ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের অংশ হিসেবে বিহারের শোননগর থেকে ঝাড়খণ্ডের গোমো পর্যন্ত ২৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণ পিপিপি (প্রাইভেট পাবলিক পার্টিসিপেশন) মডেলে করতে চায় রেল। সোমবার কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আরও জানান, পরের ধাপে গোমো থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনি পর্যন্ত ২৭৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের নির্মাণ কাজও ওই পিপিপি মডেলেই করতে চায় রেল। তবে ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডর কত দিনে চালু হবে, তা এ দিন বাজেট বক্তৃতায় নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। ২০২২-এর জুনের মধ্যে পূর্ব-পশ্চিম প্রান্তের ফ্রেট করিডরের বড় অংশ খুলে দেওয়া রেলের লক্ষ্য বলেও সোমবার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রেট করিডরের বাইরেও খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া এবং ভুসাবল-খড়্গপুর-ডানকুনি ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তৃণমূলের অভিযোগ, ২০১৬ সালে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বাজেটে এই দুই ফ্রেট করিডরের ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনাও পরে তৈরি হয়। ফলে ওই প্রকল্পকে নতুন বলে দাবি করা অর্থহীন। অর্থমন্ত্রী এখন সেই প্রকল্প শুরুতে পিপিপি-র গল্প শোনানোয় কবে তা শেষ হবে, তা নিয়ে সংশয়ে মানুষ।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “২০১৬ সালের পরে দুই ফ্রেট করিডরের পরিকল্পনা জমা পড়ে। তার প্রস্তাবিত দুই ফ্রেট করিডরের নির্মাণকাজ চালুর কথাটি বাজেটে ঘোষণা হল।” খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “আমরা বাজেট শুনে দু’টি ফ্রেট করিডরের কথা জানতে পেরেছি। কিন্তু বিস্তারিত রিপোর্ট হাতে পাইনি।” খড়্গপুর ডিভিশনে রেলের সাধারণ লাইনেই মালগাড়ি চলাচল করে। ফলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালগাড়িকে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরি হলে সেই সমস্যা মিটবে।

Advertisement

অবশ্য মূলত যাঁদের কথা ভেবে এই ফ্রেট করিডরের পরিকল্পনা করছে রেল, সেই শিল্প সংস্থাগুলির সংশয় রয়েছে। টাটা মেটালিক্সের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ মিশ্র বলছেন, “আমাদের কয়লা আসে ওড়িশার ধামরা, পারাদ্বীপ ও হলদিয়া থেকে। লোহাচুর আসে ওড়িশার জোডা, নয়ামুন্ডি থেকে। আর উৎপাদিত পণ্য সড়কপথেই যাতায়াত করে। এই করিডরে আমরা খুব একটা সুফল পাব বলে মনে হচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন