Building

Union budget 2022: সস্তা বাড়ি, কল থেকে জলের প্রতিশ্রুতি 

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আবাসন শিল্পের অন্যতম ভরসা কম দামি ফ্ল্যাট বাড়ির বাজার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

হাতে কিছুটা বাড়তি টাকার বন্দোবস্ত হবে আশা করে মঙ্গলবার যাঁরা বাজেট শুনতে বসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছেন। আয়কর-লগ্নিতে সুরাহা না-পাওয়া নিয়ে সমালোচনার সেই আবহে এ বছরের বাজেটেও মোদী সরকারের বাজি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় কম দামি বাড়ি। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা, আগামী অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) গ্রাম এবং শহরে মোট ৮০ লক্ষ কম দামি আবাসন তৈরির লক্ষ্য তাঁদের। সে জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৮,০০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ৩.৮ কোটি পরিবারে কলের জল পাওয়ার সংযোগ পৌঁছে দিতে নির্মলা বরাদ্দ করেছেন ৬০,০০০ কোটি টাকা। দ্রুত নগরায়নের যুক্তি তুলে ধরে গুরুত্ব দিয়েছেন পুর পরিকল্পনার উপরেও। সে জন্য উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আবাসন শিল্পের অন্যতম ভরসা কম দামি ফ্ল্যাট বাড়ির বাজার। অতিমারির মতো কঠিন সময়ে সাধারণ আবাসন বিক্রি মার খেলেও ভরসা জুগিয়েছে সস্তার প্রকল্পগুলির চাহিদা। তাই সাধারণ রোজগেরে মানুষের মন জিততে কেন্দ্রেরও তুরুপের তাস এটি। সেই সঙ্গে দেশের বহু এলাকায় জলের সমস্যার প্রেক্ষিতে কলের জল-সংযোগে জোর দিলে নিম্নবিত্ত শ্রেণির বড় অংশের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া যায়।

উপদেষ্টা সংস্থা অ্যাকুইল’-র এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর এবং কর বিভাগের প্রধান রাজর্ষি দাশগুপ্ত জানান, শহুরে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে নগরোন্নয়নের পরিকল্পনাও করেছে সরকার। ভারসাম্য আনতে চাইছে বড় এবং দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির শহরের মধ্যে। আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের জাতীয় স্তরের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাতোদিয়া বলেন, কেন্দ্র নগরায়নের পরিকল্পনায় জোর দেওয়ায় শহরের নানা ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়বে। ক্রেতাদের আবাসনে করে কিছু ছাড় পেলে হয়তো ভাল হত। তবে কম দামি বাড়ি তৈরির জন্য জমির ব্যবস্থা এবং সেগুলি নির্মাণের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র জোগাড় করতে কেন্দ্র রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সরকারি খরচ বাড়ানো হয়েছে। এই সব কিছুর হাত ধরে সার্বিক উন্নয়নে গতি আসবে মনে হয়। বেঙ্গল পিয়ারলেস হাউজ়িং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সিইও কেতন সেনগুপ্তের মতে, রাজ্যকে পুর-পরিকল্পনায় সাহায্য করা, দক্ষ পরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, জমির রেকর্ডের ডিজিটাইজ়েশন, দলিল এবং নথির দেশ জুড়ে অভিন্ন রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছতা বাড়াবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন