আর্থিক সংস্থায় সঙ্কট এড়াতে বিল কেন্দ্রের

সরকারি বিবৃতিতে দাবি, এই সঙ্কট সমাধান এবং জমার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিলের (ফিনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনশিওরেন্স বিল-২০১৭) মূল লক্ষ্য হবে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। এবং একই সঙ্গে, ঘুরে দাঁড়ানোর আরও কোনও সম্ভাবনা নেই, এমন ধুঁকতে থাকা আর্থিক সংস্থার পিছনে যাতে দেশের মানুষের টাকা জলে না-যায়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৫:১৩
Share:

উদ্যোগ: নরেন্দ্র মোদী।

শিল্প সংস্থার জন্য নতুন দেউলিয়া আইন আগেই তৈরি করেছে কেন্দ্র। এ বার ব্যাঙ্ক, বিমা এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থায় দেউলিয়া ঘোষণার মতো সঙ্কট তৈরি হলে, দ্রুত তার মোকাবিলা করার পথ সহজ করতেও পা বাড়াল কেন্দ্র। এই লক্ষ্যে একটি আলাদা নিগম (রেজোলিউশন কর্পোরেশন) তৈরির জন্য বিল সংসদে আনার প্রস্তাবে এ দিন ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

Advertisement

সরকারি বিবৃতিতে দাবি, এই সঙ্কট সমাধান এবং জমার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিলের (ফিনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনশিওরেন্স বিল-২০১৭) মূল লক্ষ্য হবে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। এবং একই সঙ্গে, ঘুরে দাঁড়ানোর আরও কোনও সম্ভাবনা নেই, এমন ধুঁকতে থাকা আর্থিক সংস্থার পিছনে যাতে দেশের মানুষের টাকা জলে না-যায়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

কোনও ব্যাঙ্ক, বিমা কিংবা অন্য আর্থিক সংস্থা যদি দেউলিয়া ঘোষণার মতো পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তারও সার্বিক কাঠামো থাকবে প্রস্তাবিত এই বিলে। বুধবার এই বিল সংসদে পেশ করার বিষয়েই সবুজ সঙ্কেত মিলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায়। পুরো বিষয়টি পরিচালনা করতে নিগম তৈরির কথা বলে হয়েছে ওই বিলেই।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিল পাশ হয়ে আইন হলে, দু’টি সুবিধা হবে। প্রথমত, কোনও ব্যাঙ্ক বা বিমা সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণার মুখে দাঁড়ালে, সেখানে টাকা থাকা গ্রাহকের অন্তত পুরোটা যাতে জলে না-যায়, তা নিশ্চিত করবে নিগম। বিশ্বজোড়া মন্দার মতো সঙ্কট বা দেশে পাহাড়-প্রমাণ অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে চেপে থাকার মতো পরিস্থিতিতে যা কিছুটা ভরসা জোগাবে গ্রাহককে।

দ্বিতীয়ত, শিল্প সংস্থার জন্য নতুন দেউলিয়া বিধি চালুর মূল লক্ষ্য, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সামনে খোলা না-থাকলে, গোটানোর রাস্তা সহজ করা। যাতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকলে, সংস্থা দ্রুত তা পায়। আবার তা না থাকলে, ধারের টাকা তাড়াতাড়ি ফেরত পায় ঋণদাতারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বার আর্থিক সংস্থার জন্যও বিষয়টি একই হলে, দেশে ব্যবসা করার পথ সহজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন