Investments

ভুয়ো অর্থলগ্নি রুখতে বিশেষ আইনের সওয়াল

২০০০-২০১৩ সালের মধ্যে রাজ্যের ৩০ লক্ষের বেশি বাসিন্দা সংস্থাগুলিতে লগ্নি করে কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন। সামাজিক পরিস্থিতিও এর জন্য দায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সঞ্চয়িতা, সারদা, রোজ় ভ্যালি— ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে গত পাঁচ দশকে নিঃস্ব হয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তা সত্ত্বেও এই ধরনের সংস্থার দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। এর সমাধানে রাজ্যেবিশেষ আইন প্রণয়নের সুপারিশ করল কলকাতার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (এনইউজেএস), ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার এবং ইউনিভার্সিটি অব শেভিল্ডের যৌথ সমীক্ষা। বুধবার এনইউজেএসে এই রিপোর্ট পেশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও এনইউজেএসের উপাচার্য নির্মলকান্তি চক্রবর্তী। এটি রাজ্য ও কেন্দ্রকে জমা দেওয়া হবে।

Advertisement

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহু মানুষ প্রতারিত হওয়া সত্ত্বেও অনেকে বেশি মুনাফার লোভে ভুয়ো সংস্থায় লগ্নি করে চলেছেন। ২০০০-২০১৩ সালের মধ্যে রাজ্যের ৩০ লক্ষের বেশি বাসিন্দা সংস্থাগুলিতে লগ্নি করে কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন। সামাজিক পরিস্থিতিও এর জন্য দায়ী। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত আইন আনা হয়েছে, সেগুলি এই ব্যবসাকে আটকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। তাই দরকার বিশেষ আইন। পাশাপাশি বলা হয়েছে, জনধন প্রকল্পের প্রসারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি এবং গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার কথাও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অল বেঙ্গল চিট ফান্ড সাফারারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রূপম চৌধুরী বলেন, “এখনও রাজ্য জুড়ে ৩৫০টির মতো ভুয়ো লগ্নি সংস্থা সক্রিয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন