ভোডাফোন, এয়ারটেল, জিয়োকে স্বস্তি দিয়ে স্পেকট্রাম ফি দিতে আরও দু’বছর সময় দিল কেন্দ্র

টেলিকম শিল্পের দাবি ছিল, তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে অধিকাংশ সংস্থার আর্থিক দশা বেহাল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৮
Share:

কেন্দ্রের ঘোষণায় আশার আলো টেলিকম শিল্পে।

অবশেষে টেলিকম শিল্পকে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা দিল কেন্দ্র।

Advertisement

আর্থিক সঙ্কটে ‘জেরবার’ টেলিকম শিল্প কেন্দ্রের বকেয়া মেটাতে কিছুটা বাড়তি সময় চেয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি না পেলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে তাদের পক্ষে। ইতিমধ্যেই তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান খোয়ানো টেলিকম শিল্প দেশের বেহাল কর্মসংস্থানের উপরে আরও আঘাত হানলে পরিস্থিতি যে আরও ভয়ানক হতে পারে, সম্ভবত তাঁর আঁচ পেয়েই তাদের সরকারি বকেয়া অর্থ মেটানো দু’বছরের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানাল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টেলিকম শিল্পের আর্থিক সঙ্কটের কথা মেনে নিয়ে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর ফলে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও রিলায়্যান্স-জিয়োর আপাতত প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকার বকেয়া মেটানো থেকে স্বস্তি পাবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রাথমিক ভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছে টেলিকম শিল্প।

টেলিকম শিল্পের দাবি ছিল, তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে অধিকাংশ সংস্থার আর্থিক দশা বেহাল। উপরন্তু কল সংযোগ বাবদ ধার্য ইন্টারকানেক্ট ইউসেজ চার্জ (আইইউসি) তুলে দেওয়া নিয়ে নতুন ও পুরনো সংস্থাগুলির দ্বন্দ্ব এবং সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পরে সংস্থাগুলির ঘাড়ে দীর্ঘ দিনের বিপুল বকেয়া মেটানোর দায় চাপে। কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ প্রকল্পের পাশাপাশি বকেয়া লাইসেন্স ও অন্যান্য ফি-র ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের আর্জি জানিয়েছিল শিল্প মহল। টেলিকম শিল্প আর্থিক সঙ্কটের দাবি খতিয়ে দেখতে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গড়েছিল কেন্দ্র।

Advertisement

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে নির্মলা জানান, টেলিকম শিল্পের আর্জি ও সচিবদের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁরা স্পেকট্রামের বকেয়া মেটানো দু’বছরের জন্য পিছিয়ে দিচ্ছেন। সেই অর্থ বাকি সময়ে সমান কিস্তিতে মেটাতে হবে সংস্থাগুলিকে।

টেলিকম শিল্পে বিপুল কর্মী কাজ হারিয়েছেন। ফের এই শিল্পের বিপদ বাড়লে পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা যে কেন্দ্রের অন্দরে ছিল, তা এ দিনের সরকারি বিবৃতিতেই স্পষ্ট। সেখানে বলা হয়েছে, এই স্বস্তি পেলে সংস্থাগুলির ব্যবসা চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে। তাতে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনই বাড়বে দেশের

আর্থিক বৃদ্ধিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন