Bank

ব্যাঙ্কে পুঁজি ঢালুক সরকার

অতীতে বহু বার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুঁজি ঢাললেও গত বাজেটে এই খাতে কোনও সংস্থান রাখেনি কেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিল্পের মূলধন জোগানের খরচ কমিয়ে ও ঋণের চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিতে গতি আনতে গত পাঁচ বছরে টানা সুদ কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু শিল্প থেকে খুচরো ঋণগ্রহীতা সকলেরই অভিযোগ, সেই ঋণনীতির যথেষ্ট প্রতিফলন হচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলির সুদে। বাড়ছে না ঋণ বৃদ্ধির হারও। শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক ও নীতি সংক্রান্ত গবেষণা দফতরের আধিকারিক শিলু মুদুলি এবং হরেন্দ্র বেহরার তৈরি এক ওয়ার্কিং পেপারে বলা হয়েছে, সুদ কমিয়ে ঋণনীতির পূর্ণ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে উঁচু হারে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ)। সেই সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আরও পুঁজি ঢালুক সরকার। শীর্ষ ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে, পেপারের সুপারিশ লেখকদের নিজেদের মতামত।

Advertisement

অতীতে বহু বার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুঁজি ঢাললেও গত বাজেটে এই খাতে কোনও সংস্থান রাখেনি কেন্দ্র। বরং ব্যাঙ্কগুলিকে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে তারা। এই প্রেক্ষিতে ওয়ার্কিং পেপারের বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

পেপারের বক্তব্য

Advertisement

• অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় যথেষ্ট সুদ কমাতে পারছে না ব্যাঙ্কগুলি।

• নিতে পারছে না বেশি ঋণ দেওয়ার ঝুঁকিও।

• এই সমস্যা থেকে বার করে আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুঁজি ঢালুক কেন্দ্র।

ওয়ার্কিং পেপারে লেখা হয়েছে, ঋণনীতির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির তহবিল সংগ্রহের খরচ কমলেও ঋণের পরিমাণ প্রত্যাশিত ভাবে বাড়ছে না। এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কাঠামোগত ও পরস্পরবিরোধী সমস্যা। তবে তার মধ্যে এনপিএ-র সমস্যা সবচেয়ে বড়। এর সমাধানের লক্ষ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে বিভিন্ন সময়ে পুঁজি ঢেলেছে কেন্দ্র। ক্ষতির আশঙ্কায় আগে থেকে যে নগদের সংস্থান ব্যাঙ্কগুলিকে করে রাখতে হয়, সেই সংক্রান্ত বিধিও শিথিল করা হয়েছে। তাতে পুঁজি সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়া ব্যাঙ্কগুলির হাতে কিছুটা বাড়তি নগদ এসেছে। তবে ঋণ বৃদ্ধির হার তেমন মাথা তুলেছে এমন নয়। এই প্রেক্ষিতেই ব্যাঙ্কগুলিতে কেন্দ্রের আরও পুঁজি ঢালার সুপারিশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন