দেশের মধ্যে হোয়াটস্অ্যাপ, স্কাইপ বা ভাইবার-এর মতো ইন্টারনেট পরিষেবায় ফোন করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের পক্ষেই সওয়াল করল নিরপেক্ষ নেট পরিষেবা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর ডট-এর পরামর্শদাতা এ কে ভার্গবের নেতৃত্বে গড়া ওই কমিটি বৃহস্পতিবার যে -রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবায় কম খরচে ফোন করার সুবিধা মিলবে না।
কমিটির বক্তব্য, সাধারণ ফোন পরিষেবার মতোই ইন্টারনেট পরিষেবার কলগুলিকেও একই ভাবে দেখা দরকার। তাই সাধারণ ফোনের মতোই ইন্টারনেট পরিষেবা ভিত্তিক ফোন-কেও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। অবশ্য কমিটি নেট পরিষেবায় আন্তর্জাতিক কলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখার সুপারিশ করেছে।
হোয়াটস্অ্যাপের মতো নেট পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকেরা ফোন করলে ব্যবসা হারানোর আশঙ্কা তুলেছিল টেলিকম সংস্থাগুলি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই-এর হিসেবে, এক মিনিটের ফোনের মাসুল ৫০ পয়সা হলে নেটে ফোনের খরচ মাত্র ৪ পয়সা। সে ক্ষেত্রে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল টেলিকম শিল্পমহল।
সম্প্রতি এয়ারটেলের প্রকল্প ‘এয়ারটেল জিরো’ বাজারে আসার পরে নিরপেক্ষ নেট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই পরিষেবায় নিখরচায় কিছু ওয়েবসাইট খোলার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিল তারা। তবে সেই পরিষেবায় যোগ দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে মাসুল দিতে হত এয়ারটেলকে। এ দিন অবশ্য ট্রাইয়ের আগাম ছাড়পত্র নিয়ে এয়ারটেল-জিরো পরিষেবাকে সায় দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি। যদিও নিরপেক্ষ নেটের নীতি ভাঙার আশঙ্কায় ফেসবুকের প্রায় একই রকম পরিষেবা ‘ইন্টারনেট ডট ওআরজি’-র বিরোধিতা করেছে তারা।
এয়ারটেল অবশ্য এ দিনও এয়ারটেল-জিরো নিয়ে বিতর্ক মানতে চায়নি। দিল্লিতে ইনফোকমের মঞ্চে সংস্থার অন্যতম কর্তা (উত্তর ও পূর্ব) কিশোর আসরানি-র দাবি, তাঁরা কোনও পরিষেবা বাছাই করে গ্রাহকদের দেন না। তিনি বলেন, ‘‘একটি মাধ্যম দিয়ে নেটের তথ্য পাঠানো হয়। মাঝে কোথাও হস্তক্ষেপ করা হয় না। কিন্তু অনেকেই আলাদা করে নেট পরিষেবা নেন না। শুধু ফোন করেন।