উর্জিতকে চাপে রাখারই বার্তা

যত দিন যাচ্ছে ততই তেতো হচ্ছে কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লড়াই। এ বার গভর্নর উর্জিত পটেলকে ঠারেঠোরে মোদী সরকারের বার্তা, পদে থাকতে গেলে কেন্দ্রের নীতি মানতেই হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

উর্জিত পটেল

যত দিন যাচ্ছে ততই তেতো হচ্ছে কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লড়াই। এ বার গভর্নর উর্জিত পটেলকে ঠারেঠোরে মোদী সরকারের বার্তা, পদে থাকতে গেলে কেন্দ্রের নীতি মানতেই হবে। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, মোরারজি দেশাই, রাজীব গাঁধী, চন্দ্রশেখরের জমানার উদাহরণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, ‘‘প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর সময়েই সরকারের নীতি না মানলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে সরতে হয়েছে।’’

Advertisement

আর এতেই উঠছে প্রশ্ন, তবে কি উর্জিতকে শেষে সরিয়েই দেওয়া হবে?

জবাবে ওই সূত্র বলছে, ‘‘তিন বছরের মেয়াদ তো ২০১৯ সালেই শেষ।’’ একাংশের মতে এই ইঙ্গিতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট, মোদী সরকার ক্ষমতায় ফিরলেও উর্জিত হয়তো আর ফিরবেন না। মতের অমিল হওয়ায় ঠিক যে ভাবে আর ফেরেননি পূর্বসূরি রঘুরাম রাজন। উর্জিত নিজেই সরে গেলে আলাদা কথা। সরকারি মহল বলছে, আপাতত সরানো হবে না। তবে পটেলের উপর চাপ আলগা করার প্রশ্ন নেই। উল্টে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, কেন্দ্রের নীতিই মানতে হয়।

Advertisement

হালে নানা বিষয়ে ‘সঙ্ঘাতে’ জড়িয়েছে কেন্দ্র-আরবিআই। সরকারি সূত্রের দাবি, ১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর্ষদের বৈঠকেও অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা ফের উর্জিতকে চাপ দেবেন তাঁদের পরামর্শ মানার জন্য। যদিও উর্জিত আগেই বলেছেন, সিংহভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে একমত নন তিনি।

বিজেপি সূত্রের দাবি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ইতিহাস ঘেঁটে তুলে এনেছেন গভর্নরদের অতীত। সেই অনুযায়ী সরকারি সূত্র বলছে, নেহরুও তদানীন্তন গভর্নর বেনেগল রামা রাওকে বলেছিলেন কেন্দ্রের নীতি অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি তৈরির বাধ্যবাধকতার কথা। যে চাপের মুখে পদত্যাগ করেন রাও। সূত্রের দাবি, ‘‘ইন্দিরা গাঁধীর সময় সঞ্জয় গাঁধীর মারুতি গাড়ির প্রকল্প নিয়ে মতভেদে গভর্নরের পদ থেকে সরতে হয় এস জগন্নাথনকে। মোরারজি দেশাই সরিয়েছিলেন কে আর পুরীকে। রাজীব গাঁধী মনমোহন সিংহকে যোজনা কমিশনে বদলি করেন। চন্দ্রশেখরের আমলে সরেন আর এন মলহোত্র। মনমোহন সিংহের জমানাতেও পি চিদম্বরমের সঙ্গে ডি সুব্বারাওয়ের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল।’’ আজ প্রাক্তন গভর্নর বিমল জালানও বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ মেটানোর পরিস্থিতি না থাকলে, গভর্নরের সরে যাওয়াই শ্রেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন