Central Government Allocation

তেল সংস্থাগুলির বরাদ্দ কমাল কেন্দ্র

গত বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। এখন তা ঘোরাফেরা করছে ৮১ ডলারের আশেপাশে। ফলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি, দেশে জ্বালানির দর স্থির থাকায় লাভের মুখ দেখেছে ওই সব সংস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিতে চলতি অর্থবর্ষে ৩০,০০০ কোটি টাকা জোগানোর কথা গত বছর বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাদের বিকল্প জ্বালানি লগ্নির সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে বলা হয় মজুত ভান্ডারের জন্য তেল কিনতে ৫০০০ কোটি বরাদ্দের কথাও। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩০,০০০ কোটি নয়, সংস্থাগুলিকে ১৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। তবে কেন অর্থ কমানো হল, তা বলা হয়নি। পাশাপাশি বর্তমানে জ্বালানি বাজারের গতিপথ দেখে তেল কেনার অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্তও পিছোনো হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে তারা।

Advertisement

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে মার্চে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলর দর এক সময়ে পৌঁছে গিয়েছিল ব্যারেলে ১৪০ ডলারের কাছাকাছি। এর জেরে লোকসানের মুখে পড়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। তাদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেশে দেড় বছরেরও দীর্ঘ সময় স্থির রয়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের দর। কলকাতায় পণ্য দু’টির দাম যথাক্রমে লিটারে ১০৬.০৩ টাকা এবং ৯২.৭৬ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে আদতে ওই সব সংস্থাকে সুরাহার ব্যবস্থা করে দিতেই বাজেটে অর্থ জোগানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

এর মধ্যে গত বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। এখন তা ঘোরাফেরা করছে ৮১ ডলারের আশেপাশে। ফলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি, দেশে জ্বালানির দর স্থির থাকায় লাভের মুখ দেখেছে ওই সব সংস্থা। এই অবস্থায় গত নভেম্বরে তাদের জন্য বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক্সে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। বলেছে বর্তমানে জ্বালানির দরের গতি দেখে মজুত ভান্ডারের তেল কেনার সিদ্ধান্তও পিছিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতিকে ৫.৯ শতাংশে বেঁধে রাখার পরিকল্পনাও এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।

Advertisement

এ দিকে, রান্নার গ্যাস আমদানির খরচ কমাতে দেশে পাইপে সরবরাহ (পিএনজি) করা গ্যাসের প্রচলন আরও বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। এ জন্য দু’মাস ব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি। বাড়িতে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পিএনজি-র ব্যবহার বাড়াতে ২৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন