শীত অধিবেশনেই তিন বিল আনতে চায় কেন্দ্র

নাকের বদলে নরুণ! পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) বদলে অন্য তিনটি বিল। (১) দেউলিয়া বিল (২) সালিশি ও মীমাংসা সংশোধন আইন (৩) বাণিজ্যিক আদালত তৈরির বিল। এই তিনের দৌলতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে বলে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

নাকের বদলে নরুণ! পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) বদলে অন্য তিনটি বিল। (১) দেউলিয়া বিল (২) সালিশি ও মীমাংসা সংশোধন আইন (৩) বাণিজ্যিক আদালত তৈরির বিল। এই তিনের দৌলতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে বলে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি। সেই সঙ্গে এ দিন শিল্পমহলকে তাঁর প্রতিশ্রুতি, সংসদে শীত অধিবেশনের আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও, তার মধ্যেই এই তিন বিল নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করবে সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘তিন সংস্কারই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, কেউ বাধা দিয়ে দেশের স্বার্থে আঘাত করবে না।’’

Advertisement

শীত অধিবেশন শেষ বুধবার। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে ঠিক হয়, বাকি তিন দিন রাজ্যসভায় কাজ হবে। অন্তত ছ’টি বিল পাশের চেষ্টা হবে। যার মধ্যে সালিশি ও মীমাংসা আইনের সংশোধনী বিল এবং বাণিজ্যিক আদালত বিল রয়েছে। এই দু’টি বিলই চলতি অধিবেশনে লোকসভায় পাশ হয়েছে। দেউলিয়া আইন আবার অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভার। এ বার তা সংসদে পেশ হবে।

জিএসটি এই মুহূর্তে আটকে যাওয়ায় আপাতত যে তিন বিলকে কেন্দ্র সংস্কারের পদক্ষেপ বলে মনে করছে, সেগুলি কী?

Advertisement

দেউলিয়া বিল: এটি পাশ হলে, আর্থিক সঙ্কটের জেরে সময়ে ধার শোধ করতে সমস্যায় পড়া সংস্থার সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খোলা না-থাকলে, তা গোটানো সহজ হবে। একই সঙ্গে, ওই পদ্ধতিতে গতি এলে ধারের টাকা আদায় করা সহজ হবে ঋণদাতার পক্ষে। দেউলিয়া ঘোষণার পদ্ধতি এক-এক ধরনের সংস্থার ক্ষেত্রে এক-এক রকম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা দীর্ঘ দিন চলতে থাকে। এমনকী কয়েক দশকও আটকে থাকে আইনি জালে। ফলে অনেক সময় মেরেকেটে ধারের টাকার ২০% ফেরত পান ঋণদাতারা। কেন্দ্রের আশা, নতুন আইনে সেই ছবি বদলাবে।

সালিশি ও মীমাংসা (সংশোধন) বিল: সালিশি ও মীমাংসার জন্য এক সদস্যের ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ ব্যবস্থা চালু করার বন্দোবস্ত। ছ’মাসের মধ্যে বিবাদের নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। জেটলির বক্তব্য, এ দেশের বদলে সালিশি মীমাংসা এখন বিদেশে হয়। ভারতে ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সংস্থাগুলি যাতে এ দেশের বিবাদ এখানেই মেটাতে পারে, সেই ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।

বাণিজ্যিক আদালত ও হাইকোর্টের বাণিজ্যিক বিভাগ বিল: বাণিজ্যিক বিবাদের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা এতে। রাজ্য হাইকোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা আদালতের সমতুল বাণিজ্যিক কোর্ট চালু করতে পারবে। হাইকোর্টেও আলাদা বিভাগ চালু করবেন প্রধান বিচারপতি। এক বা একাধিক বেঞ্চ তৈরি হতে পারে। সেখানে একজন করে বিচারক থাকবেন। জেটলির যুক্তি, এতে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা বাণিজ্যিক বিবাদের দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন