লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষায় ৫৬০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পড়া ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জকে তার মূল সংস্থা এফটিআইএলে মিশিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। ব্রোকার, লগ্নিকারী, ঋণদাতা এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই যাতে টাকা ফেরত পান, সেই লক্ষ্যে পণ্য বিনিময়ের এক্সচেঞ্জটির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক। যার জেরে লগ্নিকারীদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে কেন্দ্র। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্র যে-কড়া ব্যবস্থা নিতে দায়বদ্ধ, এর থেকে সেই বার্তাই তারা দিয়েছে বলে মনে করছেন মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞরাও।
ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জ (এনএসই এল)-কে জিজ্ঞেশ শাহের ফিনান্সিয়াল টেকনোলজি গোষ্ঠী (এফটিআইএল)-র সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্র কোম্পানি আইনের একটি বিশেষ ধারা প্রয়োগ করেছে, যা ভারতের ইতিহাসে এই ‘প্রথম’ বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এই ধারায় ‘অত্যাবশ্যক জনস্বার্থ রক্ষা’-র লক্ষ্যে দু’টি বেসরকারি সংস্থার ‘বাধ্যতামূলক সংযুক্তি’-র নির্দেশ দিল কেন্দ্র। আইনে এই ধারাটি থাকলেও আগে তার সাহায্য নেওয়া হয়নি।
নির্দেশ অনুযায়ী স্পট এক্সচেঞ্জকে তার সব দায় সমেতই হাতে নিতে হবে এইটিআইএলকে। যার মধ্যে রয়েছেন ১৩ হাজার লগ্নিকারী, ঋণদাতা, ব্রোকার ও অন্যদের ৫২০০ কোটি টাকার বকেয়া প্রাপ্য। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ানোর মতো কোনও ব্যবসা স্পট এক্সচেঞ্জের নেই। অন্য দিকে বকেয়া মেটানোর মতো সম্পদ এফটিআইএলের আছে। তাই তারা দায় এড়াতে পারে না। এফটিআইএল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সরকারি নির্দেশের খসড়া পেয়েছি। আইনজীবীর পরামর্শে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
২০১৩-র জুলাইয়ে ধরা পড়ে শেয়ার বাজারের ধাঁচে তৈরি মূলত কৃষিপণ্য বিনিময় মাধ্যম স্পট এক্সচেঞ্জের কেলেঙ্কারি। জিজ্ঞেশ শাহই তাঁর এফটি গ্রুপের অধীনে গড়ে তোলেন বৈদ্যুতিন পণ্য বাজার স্পট এক্সচেঞ্জ। শাহের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চার্জশিট দাখিল করেছে মুম্বই পুলিশ।