সওয়াল: লোকসভায় অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অনেক সময়েই আইনি ফাঁসে পড়ার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার লোকসভায় ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল, ২০১৭ নিয়ে আলোচনায় বলেন, এই কারণেই টাকা আদায়ের ব্যাপারে চিরাচরিত প্রথার বাইরে গিয়ে নতুন ব্যবস্থা নিতে শঙ্কিত অনেক ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, সংশোধনী বিলটি এ দিন লোকসভায় পাশ হয়েছে।
জেটলি এ প্রসঙ্গে ঘুষ প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারার উল্লেখ করেন। যে-ধারার সুযোগ নিয়ে ঋণ খেলাপি সংস্থা নানা কৌশলে ওই বকেয়া ঋণ আদায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন তুলতে পারে। এমনকী বহু বছর বাদেও তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক-কে। এ ধরনের পুরনো আইন এখন প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জেটলি।
১৯৪৯-এর ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিলটি আইন হলে, তা অনুৎপাদক সম্পদ আদায়ের লক্ষ্যে জারি অর্ডিন্যান্সের জায়গায় চালু হবে। বিলে ওই সম্পদ আদায়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা আছে। সেই অনুসারে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে দেউলিয়া আইনে খণ খেলাপি সংস্থার থেকে বকেয়া উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে পারবে।