টানা দু’টি অর্থবর্ষে বিদ্যুতের গড় মাসুল অপরিবর্তিত রাখছে সিইএসসি। এখন প্রতি ইউনিটের দাম ৬.৯৭ টাকা। মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুতের গড় মাসুল না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সিইএসসি-কর্তৃপক্ষ জানান, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। সংস্থার বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ এবং তা বিক্রির হিসেব খতিয়ে দেখে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষেও মাসুল-হার একই রাখতে হবে। তাই মার্চ পর্যন্ত বাড়ছে না মাসুল। সংস্থার দাবি, এতে সিইএসসি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে তারা জানিয়েছে, এই সময়ে কয়লার দাম বাড়লে জ্বালানি খরচ যেটুকু বাড়বে, তা মাসুলের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ জ্বালানি-ব্যয়ের সম্ভাব্য বৃদ্ধির খিঁচটুকু থাকছেই।
যদিও সংস্থার এক কর্তা জানান, কমিশনের ঠিক করা মাসুলই বহাল থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাঁর ব্যাখ্যা, বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী কয়লার দাম বাড়লে বছরের যে-কোনও সময়েই তা মাসুলের সঙ্গে যোগ করে নেওয়া যায়। তবে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কয়লার দাম চট করে বাড়ার লক্ষণ নেই। তাই মাসুল বদলের সম্ভাবনাও কম।
সিইএসসি-কর্তার দাবি, বিদ্যুৎ জোগানের ক্ষেত্রে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার থেকে তাঁদের সংস্থা আর কোনও বিদ্যুৎ কিনবে না। কারণ, হলদিয়ায় সংস্থার ৬০০ মেগাওয়াটের নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখন চাহিদা নিজেরাই মেটাতে পারবে। বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে বণ্টন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে। বণ্টন সংস্থা থেকে সিইএসসি গত ৩ অগস্ট শেষ বারের মতো ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনেছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর।
সিইএসসি ঠিক করেছে, আচমকা চাহিদা বাড়লে পরিস্থিতি সামলাতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কেনা হবে। যা সস্তায় মিলবে। বিষয়টিতে অনুমতি দিয়েছে কমিশন। বণ্টন সংস্থারও দাবি, তারা সিইএসসি-কে যে বিদ্যুৎ দিত তা রাজ্যের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। দেওয়া হতে পারে অন্য রাজ্যকেও।