ঝুঁকি বুঝেই ফের কথার পথে চিন, আমেরিকা

চিনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাড়তে থাকা শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে নতুন করে কথা শুরু করতে বেজিংকে ডাক দিয়েছে ওয়াশিংটনই। তবে তাঁরাও যে আলোচনায় রাজি সেই ইঙ্গিতও দেয় মন্ত্রক। জানায়, ‘‘আমন্ত্রণ এসেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ শেষ বার ২২ অগস্ট ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিলেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছিল।

Advertisement

বেজিং

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:০৬
Share:

কথা হয়েছে এর আগেও। মোট দু’দফায়। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি তেমন। বরং পারস্পরিক শুল্ক যুদ্ধের তোপ দেগে বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ আরও ছড়িয়েছে আমেরিকা ও চিন। এই পরিস্থিতিতে আরও এক বার আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে দু’দেশ। তা-ও আবার আরও ২০,০০০ কোটি ডলার চিনা পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে কি না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক মুখেই। ফলে অনেকেই বলছেন, উদ্দেশ্য সাধু। তবে কথা এ বারও সফল হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।

Advertisement

চিনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাড়তে থাকা শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে নতুন করে কথা শুরু করতে বেজিংকে ডাক দিয়েছে ওয়াশিংটনই। তবে তাঁরাও যে আলোচনায় রাজি সেই ইঙ্গিতও দেয় মন্ত্রক। জানায়, ‘‘আমন্ত্রণ এসেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ শেষ বার ২২ অগস্ট ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিলেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট মহল অবশ্য বলছে, শুল্ক যুদ্ধের ধাক্কা যে তাদেরও ধাক্কা দিচ্ছে, তা বুঝেই ফের আলোচনার পথে পা বাড়াল আমেরিকা। কারণ ইতিমধ্যেই মার্কিন ও ইউরোপীয় বণিকসভাগুলির রিপোর্ট জানিয়েছে, দু’দেশের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আঘাত করেছে চিনে ব্যবসা করা বিদেশি সংস্থাগুলিকে। তার উপর মার্কিন আর্থিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্সের আবেদন নেওয়া বন্ধ করেছে বেজিং। সমীক্ষায় বহু মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে তাদের আয় কমা, এমনকি মুনাফা খোয়ানোর আশঙ্কার কথাও। ট্রাম্প আরও চিনা পণ্যে শুল্ক বসালে ক্ষতি বাড়বে বই কমবে না।

Advertisement

৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসেছে। আশা ছিল, এতে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যে ঘাটতি কমবে। কিন্তু ঘটেছে ঠিক এর উল্টো। বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে অগস্টে চিনের রফতানি বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে আমেরিকার কোনও লাভ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ছুঁয়েছে।

তবে অবস্থা সুবিধার নয় বুঝেছে চিনও। আমেরিকার মতো বড় বাজারে ব্যবসা করতে গিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে তারা। তাই কথায় রাজি বেজিং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন